সুধাংশুরঞ্জন সাহা
যৌনতার জলবায়ু: এক
আদতে তুমি জানো না।
তুমি, আমি
কেউ নয় ।
একটা শরীর চায় আরেকটা শরীরকে ।
জামাকাপড়বিহীন দু'দুটো
শরীর
মেতে ওঠে নিত্য নতুন খেলায় ।
অবশেষে একটা বিশাল অজগর
ঢুকে পড়ে কচুরিপানাময়
প্রার্থিত একটা খালে ।
অথচ খালটাকে গিলতে পারে না
কোনভাবেই ।
যতবার ঢোকে ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসে
দ্রুত ।
যৌনতার জলবায়ু: দুই
আমি বেশিক্ষণ অফিসে থাকলে
আমার স্ত্রী আমাকে কিছুই জিজ্ঞাসা
করে না ।
আমি মেয়ে-বন্ধুদের সঙ্গে কথা বললেও
সে বিশেষ কিছুই বলে না ।
কিন্তু বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে একটু
কথা বললেই
তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে সে ।
বলে, মিছিমিছি আমাকে
বিয়ে না করে
ওকেই তো বিয়ে করতে পারতে ।
যৌনতার জলবায়ু: তিন
শরীর ডিঙিয়ে,
বিছানা ডিঙিয়ে,
কে আর কেটেছে সাঁতার নদীতে, সমুদ্রে ?
রাতদুপুরে সাপলুডো খেলতে খেলতেই
দু'পায়ের ফাঁকে নীলনদে
ডুবতে ডুবতে
ভাসতে ভাসতে
জেনেছি তামাম জন্মবৃত্তান্ত, দু'চোখের
বিস্ময়ে !
যৌনতার জলবায়ু: চার
অয়েদিপাউস, ইদিপাস
কপচাতে কপচাতে
বিস্তর পেনসিল স্কেচ করার পর সেইতো
শেষ অব্দি সেই শরীরেই যাতায়াত
আমাদের ।
স্তন, যোনি,
শিশ্ন যৌনশিল্প
তামাম দুনিয়ায় তুলেছে কত ঝড় !
আজও নির্ঘাৎ তোলে ।
বয়ঃসন্ধি থেকে শুরু করে পূর্ণ অবয়ব
।
গোলার্ধ থেকে গোলার্ধে
ধার তার এতটুকু কমে নি, বরং
বেড়েছে ।
যৌনতার জলবায়ু: পাঁচ
কনডোম আর পিলের গল্প যত এগোয়
খিদের আগুন দুনিয়াকে ততই দাউদাউ
পোড়ায়
ভোরের নদীর কুয়াশায় যেমন থাকে
তালাশ
আবিষ্ট অন্ধকারে মানুষেরও সুপ্ত
থাকে
অপরূপ উরুর সম্মতির আকাঙ্ক্ষা ।
এইসব ক্ষেত্রে অশ্বারোহী এবং
পদাতিক
সব যোদ্ধাই যৌনতার জলবায়ু মাপতে
ওস্তাদ ।
যৌনতার জলবায়ু: ছয়
জ্যামিতিক পৌরুষ কোন নারীইবা
ভালোবাসে !
সুদীর্ঘ নদীগর্ভ নিয়ে সে তো
অপেক্ষাতেই থাকে।
নিরিবিলি রাত্রি ও স্তনের উচ্ছ্বাস
সাজিয়ে ।
ঠোঁটকে নদী ভেবে পরস্পর সাঁতার
কাটে,
অকপট স্নান সারে মুগ্ধতায় ।
তারপর টইটম্বুর জোয়ারে ভাসে পরস্পর
।
অথবা জ্বলে যায় বিবাহের বারুদে
....
কিংবা ভেসে যায় অবিবাহের জলপ্রপাতে ....।