সায়ন্তনী হোড়
রহস্য
ক্ষয়ে যাওয়া রাতের চাঁদের রেলিং-এ
কুয়াশার বাসরঘর সাজানো
ফুল
শয্যা
ধোঁয়াশা
তুমি যখন পেরিয়ে যাচ্ছো মাংসল ঢিবি
বুকের ভেতরটা তখন একটা নাচঘর হয়ে
ওঠে
ক্লিডেজ ছিঁড়ে দিলে
মেঘেদের গোপন রহস্য ভেদ হয়ে
যায়
খোলা আকাশের কাছে
অন্ধকারে
জিভ কেড়ে নেওয়ার আগের মুহূর্তে
আমরা আবার উন্মত্ত হয়ে উঠি ,
মুখের ভেতরে একজোড়া প্রজাপতি ওঠার
জন্য ।।
যৌনসংকেত
বিশ্বাস করো, কোনোদিন
যৌনতা ভেঙে
তোমাকে দেখতে চাই নি
তবুও আকাশের বীর্যপাত হলে
আমার শুধু তোমার কথা ই মনে পড়ে
বিছানার উপর রাখা লাল গোলাপের গন্ধ
শুঁকতে শুঁকতে তুমি ক্লান্ত হয়ে
যাও ,
সেই ক্লান্ত শরীরের দিকে ছুটে
যাচ্ছে এক
অযোনিসংকেত !
এলোথেলো চুলে জড়ানো লবঙ্গ বৃন্ত
ধীরে ধীরে লাল হয়ে উঠছে
শরীর কামড়ে খাচ্ছে
এক কল্পিত প্রেমিক
তারপর একটা সময় গলা-হাত-পা অবশ হয়ে
এলে
এরকম সম্মোহন মিথ্যে হয়ে যায়
শুধু রক্ত গড়িয়ে যায়
ভবিষ্যতের যোনি থেকে
দেহাত্মবাদ
পুরুষপ্রবাহ প্রবল হলে
গাছের সব হলুদ পাতা ঝড়ে যায়
বন্ধ দরজার এপারে
একটা লাল শাড়ি উড়তে থাকে
শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে
তুমি
গা-ভর্তি
চুম্বনের তাবিজ
পরিয়ে দিচ্ছো
এভাবে ভার্জিনিটির বিপরীতে গিয়ে
কিছুটা সিঁদুর লেপ্টে যায়
ঠোঁটের মধ্যে ঠোঁট রাখলে
আমাদের পরজন্মের সহবাসের ছবি তীব্র
হয়ে
যেখানে আজও একগুচ্ছ শুকনো গোলাপের
স্তবক রাখা আছে , অন্তিমে একটা
অস্থায়ী ঝাপসা সকালের ঘুম
আমাদের দরকার ছিলো