অভিজিৎ দাসকর্মকার
প্রাচীণকালের জবানবন্দি
আর একটা
সাম্প্রতিক সময় বিবর্তনের প্রবহমানে কক্ষচ্যূত-
এবং
যতটুকু ভৌগোলিক
বৃত্ত আঁকা যায় তার পায়ের নীচে___
সেখানে
প্রত্যেকটি
উদ্ভিদ জলজ বা হ্রদবাসী,
যাই হোক
প্রায়শই গলে যায়
মোম দানীর গা বেয়ে।
আরও
উজ্জ্বলতার আড়ালে
রাত তার চিত্রকল্পটি আঁকে।
ঠিক পিছনে আমার
ঘরের চৌকাঠ
আর, প্রাচীণকালের
জবানবন্দি ;
আজকাল
ক্রমশ হালকা -
ভাসমান হওয়া ঢেউ;
আবিষ্কার করছে
অনন্ত অস্থিরতা...
অন্ধকার কী কী দেখে?
সোহাগিনী
আমার চোখের
অনিবার্যতায়
মোমের গলনাংক
চিত্রপট আঁকছে-
যাক তাহলে
সম্মোহনে জ্বলছে
জ্যোৎস্নার দহন,
নীলপদ্মের
লালামিশ্রিত উর্বরতায়
শরীরের ভিতর জমছে
ইউরিয়া
ভয়হীন কোল
হাত ধরে থাকা সময়
আদমসুমারি গুনছে
আঙুল বরাবর
গতানুগতিক
বালিকাবেলায়
হঠাৎই মহড়া সাজায়
পুরুষ
বহুলতার পাশে
মাঝরাতের আড়মোড়া
ভাঙছে
পুরুষাঙ্গটি
অন্ধকার কী কী
দেখে?
গভীর সময়ে টানটান চোখ
ইংরেজি সিনেমা, আর-
ভোরের বিছানার স্বপ্ন-দোষ...
প্রতিটি নিস্ক্রিয় মৌল আর অশান্ত
চাঁদ...
এত রাত গভীর
জন্মনক্ষত্রের
অবস্থানে
ব্যবধান মাত্র
একটি অসুখের
ঊর্ধ্বশ্বাসে আসা
ইস্পাতের বশ্যতায়
ওরা বলেছিল
মৌমাছিরা
অন্ধকারে
অপেক্ষার ঈশানী কোণ
১৯ ঘরের নামতায় ৮ এর গুনিতক
মেখলার পাড়ে ময়ূরের বর্ষামঙ্গল
এসবই
মেরুপ্রদেশের অহংকারকথা
জোনাকির শ্বসনে
উদ্বেগ আর
প্রবীনতম আমার ঋণ
সহাবস্থান করছে
জামার ঘামে
পকেটের কাগজে তোর
নাম লেখা -
সেই গন্ধে
মেন্ডেলের
পর্যায়ে পিথাগোরাসিয়
হরিণটি
অনুসিদ্ধান্ত করে
সান্ধ্যভ্রমন করে,সঙ্গে
প্রতিটি
নিস্ক্রিয় মৌল আর-
অশান্ত চাঁদ...