গৌতম কুমার গুপ্ত
সে ফ টি পি ন
এখনও পৃষ্ঠা কয়েক বাকি
অন্তরঙ্গ হয়েছি অবতরণিকায়
শেষ লাইনে না এসে পারছি না
দিনান্তেও আমার আকর্ষণ জমজমাট
কি খোলতাই দিচ্ছে খুলে ফেলা
সেফটিপিন
মনে পড়ে যাচ্ছে ছুঁচের মানবধর্ম
অভ্যন্তর খুঁজে নরম মাংসে তীব্র
ধারালো
মনে হয় আরো তীক্ষ্ণতা বহন করি
আরো সুভেদ্য হই পৌরুষে বাজাই
কানাড়া
তোমার অন্তিমে গড়িয়ে পড়ে ঘুমরস
জাগিয়ে তুলি আবার কামনামদির
বর্ণনা ঘিরে ধরে যূথচার সহিস
আবার অক্লেশে খুলে ফেলি জিপার
সেফটিপিনে ক্ষান্ত হয় নির্বিচার
হে যুবতী
হে যুবতী চাঁদটিতে রেখেছো হাত
দ্যাখো কেমন নিশপিশ করে রাত
অমন যে অমন কালো রেশমে তুলনা দিলে
বিদিশার নিশায় নেশার মৌতাত খেলে
হে যুবতী ঠোঁটে রেখেছো গরল
বারবার টানে অমোঘ অমৃতি তরল
ভেজায় পুরুষের ক্রোধ ও গ্লানি
বিভাজিকা কুসুম দেয় বিরুদ্ধ
হাতছানি
মোহিনী টিপে নিতম্ব রেখায় ওষ্ঠে
ভেজালে চাঁদ
জঙ্ঘা ধরে উঠে আসে চোখ অভ্রান্ত
ফাঁদ
ভালবাসা নেমেছে শরীরে অবাধ
যৌনাচারে
স্বর্গ মর্ত্য পাতাল বুঝি এক হয়
পাপাচারে
হে যুবতী রেখা সুলেখা মাধুরী তনয়া
প্রীতি
লাবণ্য গাথা চুম্বিত ঠোঁটে
ঐশ্বর্যা সম্প্রীতি
এ কা কী
একাকীত্বের স্বেদগ্রন্থি যখন
ঘিরে ধরেছে ছায়া
তোমাকে মনে পড়ছিল না
মনে পড়ছিল অন্তর্বাসে অন্তর্ভেদী
দুই
গায়ে মেখে আছে আগুন
একটা শরীর জানতে চেয়েছিল
রাত- গভীরে অনিদ্রা থেকে চুঁইয়ে
পড়ে যৌনজল
স্নাত হয়ে পৌরুষ লেপ্টে থাকে যোনির
মাংসলে
ক্রোধ ও কল্পনার মিশেলে সে এক
স্বপ্নরঙীন
ভাবনার বেলুনে ফোঁস করে উঠে আলজিভ
গভীরতার মাপে পুরুষদন্ড ছোবল দেয়
দাঁড়িয়ে গেলে খোঁজে বিশ্বাসী ঠোঁট
যেখানে মরে যাওয়া বলে বারংবার
বলে শুধু তোমার জন্য আছি