তৈমুর খান
উন্মীলন
রোজ জেগে উঠছে সেই প্রাচীন লিঙ্গ
অনন্ত যোনির দুর্গের পানে চেয়ে
যেখানে সবাই বিমোহিত
পদ্মবনের সান্নিধ্যে পায় জাগরণ
যেখানে সবার সরু মাজা
নিভৃতে পাঠ দেয় গূঢ় বাৎস্যায়ন
সারারাত আলগা করি সমস্ত বসন
কাঙ্ক্ষিত আয়োজন চায় ধূসর ইন্দ্রিয়
আর রঙিন নখের চেরা দাগে
গোলাপি ভাষার নম্র সম্মোহন
শিহরনগুলি জমা হলে
মুকুলিত অভ্যাসে উন্মীলিত ঠোঁট
পিপাসায় নেচে নেচে ওঠে
সারারাত স্বপ্নগুলি বাঁধে মহাজোট!
মন্থন
চকিতে শীৎকার ওঠে
সঙ্গমের তীর্থে বহে স্রোত
আমার প্রত্যাশী যুবতীরা
নিবিড় শয্যায় তবে উন্মীলিত হোক।
দেহের বারুদে আজ বিদেহ উত্তাপ
অসহিষ্ণু অন্ধকারে পাঠায় সংকেত
মন আজ থেকে থেকে বিদ্রোহ করে
চক্ চক্ করে তরবারি, নেই
তার খাপ!
অদ্ভুত মন্থন আজ নিষিক্ত খেলায়
থেকে থেকে বিদ্যুৎ চমকায় তার
তবু নিরন্তর বুক জুড়ে চাঁদ
দুকূল প্লাবনে ভাসে অমৃতের জয় ।
গলন
নীল কাঁচুলির ঘুম ভাঙে
ফণাময় ফেনাময় নাভি
স্বরতন্ত্রে ঘোর প্লুতস্বর
আঙুলে জড়াই আঙুল তার
এই ঘন বৃষ্টিময় মাঠ
এই নিবিড় সন্নিবেশ ঢাকা ঘাস
বিকল্প বুঝিনি কিছুই অকল্প হ্রদের
কাছে এসে
দেখি শয্যা জুড়ে আজ নেমেছে আকাশ
নদী, বালুচর আর শিস
তোলা পাখি
এই গহনে উত্তাল সব উপনিবেশ
রোমাঞ্চ স্ফুরিত হলে নিথর পর্বত
চূড়া কাঁপে
আকর্ষণের সন্নিকর্ষে বিপ্লবী
অভিঘাত
গলনে প্রবাহিত
হতে চায়