হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
স্তন
মাংসে গড়া দুধের সাগর
কবির কলমে অমৃত ফল
নবজাতকের চোখের আলো
দু' অক্ষরের জীবনজল ।
ঠোঁট
ঘুমোতে ঘুমোতে হঠাৎ উঠেছি জেগে
শরীরে শরীর আগুনের ছ্যাঁকা লাগে
কোথাও কোথাও আগুনের বড় ক্ষত
দাগ নেই তবু শরীরের কথা ভাসে ।
তোমার শরীর সেতারের তিন তারে
চোখ বুজে তারে বুলিয়ে গিয়েছি হাত
আঁধার ঘরেতে সুরের জাদুতে আলো
একটা সুরেই হয়ে যায় বাজিমাত ।
শরীরের স্বরলিপি
হঠাৎ ঝড়েতে উড়ে যায় দুই পাখি
উড়ছে তবুও হারানোর নেই ভয়
উড়তে উড়তে গোপন গুহার ভেতর
অন্ধকারেও জ্বলছে কোথাও আলো ।
যে সুরেতে গান গেয়ে গেছে এতদিন
এ সুর আরও গভীরের দিকে টানে
দু'খানি হৃদয় কাছাকাছি
যদি আসে
চিরজীবী হবে শরীরের স্বরলিপি ।