সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্তরৈশ্বর্যে মগ্ন
এই যে বাড়ি, এর
চারপাশে যে ফুলের জলসা
সব প্রকৃতির খেয়ালিপনা,
অথচ মাটির তলার জল পাতালগামি।
ঝরাপাতার পাগলামি তোমার উড়ন্ত
শাড়ির মতো
নিরভরন দুগ্ধভারে আনত স্তনে
পৌরুষের
পাঞ্জার ছাপের পাশাপাশি,শৈশবের
তৃষিত ঠোঁট !
পেলব কোমড়ে দুর্বিনীত হাওয়ার
মঞ্জরী লেগে,
নাভিচক্র থেকে উড়ে যাচ্ছে প্রজাপতি
ঘোর
আবাহন লেখা ওষ্ঠপুটে বিরল মৌমাছির
আনাগোনা।
এই যে বাড়ি, অন্দরের
অন্ধকারের ঐশ্বর্য-
সব প্রকৃতির খেয়ালিপনা।
জীবনচক্রের রীপু মথিত উচ্ছ্বাস
চোখে মুখে ভাসছে,
মোনালিসা নয়, ডেসডিমোনা
নয়, উর্বশী নয়
সাধারণ ঘরোয়া এক রমনী, যার
রূপৈশ্বর্যে
মোহিত হয়ে আছে রমন জানা এক
কালপুরুষ!!
রামধনু গান
একটি হৃদয়
একটি শরীর
একটি বোধ-- নির্বিকার শুয়ে আছে
অবিচল।
যোনিতটে ঘেঁয়ো মাছি খেলে ফিরছে
অবিরাম,
সুঠাম স্তনের ভাঁজে চাপা আছে
শিল্পীর কাম
স্তনসন্ধিতে দুলছে বিপত্তাড়িনি
জরিবুটি দোল।
চোখের পাতা থেকে উড়ে গেছে মধু
দৃষ্টি সুখ
গণ্ডদেশ সুশোভিত সাতনরী অশ্রুর
হারে,
উলুখাগড়ার দাগে চিহ্নিত উরুসন্ধিত
দীপ্যমান,
ধর্ষনের তর্ক উঠে আগ্রাসনে খেয়ে
নিচ্ছে মিডিয়া
ধিকি ধিকি জ্বলে জ্বলে মোমবাতি
মিছিলও শেষ
কোথায় দাঁড়াবো!
একটি কুমারী
একটি হৃদয়
একটি শরীর
ফুল হবার আশ্লেষ চোখে মুখে যার,
তার জন্য ধর্ষণের এ কোন মনিহার!
বিকলাঙ্গ সময়ের হাত থেকে ক্র্যাচ্
কেড়ে নিয়ে
বদর বদর শব্দে কেঁপে ভাসাবে জীবনের
নাও,
কে গাইবে- দেহবল্লরী থেকে উদ্গত
রামধনু গান!
দেহ পরিক্রমা
কপালে রেখেছি ঠোঁট
আবেশে চোখ বুজে আছো
হৃদয় বাঁধছে জোট
এভাবে নিত্য দিন বাঁচো।
গালে রাখি চুম্বনের দাগ
ভালোবাসা বুঝবে না লোক,
ভেঙে দিই শোক ভরা রাগ
জিভে জাগে রুদ্র অশোক।
গণ্ডদেশে আঙুল রেখেছি
আশরীর লেগে গেছে ধুন,
এমন কাঁপন প্রথম দেখেছি
দেখে আমি হবে গেছি খুন।
সুডৌল বুকের 'পরে
হাত
ঝিনুকে মুক্ত খুঁজে পাওয়া,
ইচ্ছার দারুণ সংঘাত
ওষ্ঠাধরে বৃন্ত ছুঁতে চাওয়া।
নাভি পদ্ম ছুঁলে রাত্রিকীট
ত্রিফলা আদর নামে দেহে,
উরুসন্ধি দীপ্যমান করে
নরক গুলজার কর কে হে!!