বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৯

মৌ মধুবন্তী


মৌ মধুবন্তী


কবিতা পড়তে পড়তে
কবির সাথে কথা...
ওটা কি? কুর্মীটোলার শশা? স্নিগ্ধতার শীতল আবেশ।
কবিতা পড়তে পড়তে
কবির সাথে আলাপ...
সঞ্চয়ের ভগ্নাংশে জ্বলে ওঠে দীর্ঘ অগ্নিমুখ।
সেদ্ধ করা ডিম কেটে দিলে
জরায়ু ফেটে বেরিয়ে আসে
অদ্ভুত আশংকা।

প্রতি কামড়ে মরিচের স্বাদ
জিহবায় পিচ্ছিল দিন
গড়াতে গড়াতে
রাতে নোনতা ডিনার
সকালের নাশতায় তার
বাড়ন্ত শিশ্নিকছায়া

অনাদিকাল তাকে স্বপ্নের ঘোরে হাঁটায়
পেটিকোট ব্রা পেন্টি সব
তখন অতি তুচ্ছ মনে হয়
কালের গর্ভে জন্ম নেয়
বিশেষ বিশেষ চুমুক!
অনিশেষ অন্ধকারেই
ঘুরপাক খায় এন্ড্রোমিডা।

গ্রহান্তরে যাবজ্জীবন কারাবাস।
আর ভুল হবে না।
আজ মাসের কয় তারিখ?








অনাদিকাল ছুঁয়ে থাকো
ফুলে থাকা সোনাঠোঁট
রেজরের আদরে তারা বেজে ওঠে জলতরংগে
ঠোঁটের উষ্ণতায় নিশ্চয় বেজে উঠবে রাগ গহীন
তখন কেবল আরোহন,
আরো আরোহন,
আরো আরো...
চার মাত্রা গুনে গুনে সোম...
ক্রমশ বৈদিক যুগ পেরিয়ে
বেরিয়ে আসে উষ্ণপ্রসবণ,
এক, দুই, তিন করে করে
ভূগোলের ভিটেমাটি ফেটে যায়, তিনশ চক্র।
লাভ সাইন পিলো তখন শ্বাস ফেলে বলে,
দেখা হবে ভোর রাতে।
এখন পানতুয়া জড়িয়ে রাখো হালকা ন্যাপকিনে।








ঠান্ডা আপেলের ছোঁয়ায়
হাম দুটো জমে ওঠে
সপ্তাহের হাট বাজারের মত।

শুধু কি পুরুষেরই খাড়ায়?
এতো লোহার সাঁড়াশীর চেয়েও
আরো দুর্বার শক্ত পাহাড়।
চড়ে বসে, উঠিয়ে নেয়
দুই চোয়ালের গ্রীনল্যান্ডে।
দুহাত তখন কঠিন শেকল।
পাঁজরে পাঁজরে তখন
নিঃশ্বাসের শলাকা বাড়ি খাচ্ছে।

চুক চুক শব্দে ইঁদুরের দিগবিদ্বিক দৌড়-
আপাদমস্তক প্যাঁচিয়ে থাকে সাপ

আংগুলের ডগায় নকশা কেটে দিলে
তার দাপট বেড়ে যায় কয়েক হাজার গুন।
সে নাকি তখন
তিনশ ষাট ডিগ্রী।

একশ আশি ডিগ্রী ভেদ করে
উড়ে যায় ভরপুর দেমাগ
মাথার উপর দিয়ে।
স্পাইনাল কডে তখন
টান পড়ে পালের হাওয়া...


স্রোতে ভেসে যায়।
নাবিকের নাভীর বদ্বীপ।
কাত হয়ে পড়ে থাকে অবোধ আধার।