কৌশিক
চক্রবর্ত্তী
চিলেকোঠা
ও মেঘ
কারা
যেন বলেছিল আমাদের ছেড়ে দেবে ঘর
জাফরির
টানা কাজে সাজাবে সে ছায়া,
অন্দর
যতটা
সখের মেঝে,
আমাদেরও বলেছিল শুতে
সেটুকু
মেশেনা আর,
রেখে দিও চিলেকোঠা পুঁতে
এরপরও
ঝড় এলে তুমি যবে মোহনা সরাও
নদীর
দুপাড় থেকে কোনোমতে ভীতু চুমু নাও
আমার
সাঁতার কাটা বারণ ছিলোনা সেই গাঙে
মিথের
প্রেমিকা কেন চিঠি জুড়ে কালোমেঘ ভাঙে?
কথা
ছিল যার কাছে,
ভিজে গেলে ছবি তুলবোনা
তবুও
সে লিখে গেছে মেঘ আর আমার তুলনা
এভাবে
নরম ভিতে নিজেদের বেঁধে নেব জানি
প্রতিদিন
শেষরাতে আমিও স্বপ্নসন্ধানী
কোমরে
মাদুলি কম,
অক্ষরে বাঁধা আছে বেশি
বেপাড়ায়
ঝড় এলে তুমিও ধর্ম বিদ্বেষী
কখনো
নিজের মত ঘরের জানালা দাও খুলে
শাড়িও
জড়াতে পারো সদ্য বাতিল মাস্তুলে
পতাকা
ঠিক
শোবার ঘরের পিছনে অঝোরে বৃষ্টি নেমেছে
এখন
জলের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে রাষ্ট্রশোক
গোপন
করা যাচ্ছে না আর
এদিকে
যেটুকু বাস্প বেঁচে ছিল লুকোনো মুঠোয়
তার
ওপর অধিকার ফলিয়েছি আমিও--
চেষ্টা
করেও শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না মুখ্যদরজা
কখনো
ছাতার মধ্যেই পালিত হচ্ছে সাম্রাজ্যের তীক্ষ্ণ সংকেত
আমি
নতুন করে আর পরাধীন ভাবছি না নিজেকে
যদি
না বৃষ্টিফোঁটায় অনায়াসে ভিজে যেতে পারে পতাকার প্রতিটি অব্যবহৃত কোণ...
বৃষ্টিকোণ
ছাতার
তলায় গুমট রাস্তাঘাট
এখনো
জমেছে বৃষ্টিরা,
আজগুবি
তবু
প্রকাশ্যে আকাশের মত সেজে
নিম্নচাপের
ধর্ম খুইয়ে শুবি?
হঠাৎ
মেঘলা,
মাথার বিপদ আরো
শর্ত
বাড়ছে গুড মর্নিং কলে'র
ছাদের
পাশেই বাড়িয়ে দিওনা মাথা
বরং
লুকিও ব্যস্ত মফস্বলে
অনেক
আপোষ বর্ষা দিনের পরে
দেয়াল
শুকনো,
ফুলের ওজন ভারি
বান্ধবীরাই
হাজিরা দেয়নি বলে
তোমার
ছাতায় ঝুলছে ওজনদাঁড়ি
মেপেও
রেখেছো পুকুরঘাটের মাপ
সময়
লাগেনি,
এটুকু শিখিয়ে নিতে
গোপনীয়তার
সবটা যায়নি ঢাকা
কিছু
বাঁধা আছে প্রকাশ্যে,
বঁড়শীতে।