তাপসী
লাহা
শ্রাবণ
-এক
পৃথিবীর
কবিতাগুলো আমাদের শতসহস্র প্রণয়ের আবেদনে ভিজে যায়
অহৈতুকী
কায়াকল্পের মাধুকরী
মেঘমঙ্গল
জুড়ে ঈশ্বর নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকেন
আমাদেরই
সত্যাসত্য শ্রাবণ তৎপরতায়।
এসব
শিশিরাক্ত সমুজ্জ্বল হায়াবদনম
পার্থিবতা
নস্যাৎ করে অলৌকিক
অঝোর
ধারায়।
শ্রাবণ
-দুই
অপেক্ষা
নামের বাড়িটা খুঁজে যাচ্ছি পাহাড়ের গলিঘুঁজিতে
তোমার
সাথে প্রথম ভেজা এক দুপুরের আলোছায়ারা
তিরতির
করে বয়ে বেড়াচ্ছে পাহাড় ছুঁয়ে।
একট
নতুন জন্মের জন্যও অনেক অনেক
সিক্ততা আর আলিঙ্গন পোহানোর পর অনেক
আগের
শ্রাবণ দুপুরেরা নাম লেখায় উদাসী এক মেঠো গন্ধের একাকীত্বে।
শ্রাবণ
-তিন
টুপটাপ গড়িয়ে পড়ছে কুচো
বৃষ্টিরা।পর্দাভেদ করে কুয়াশায় ভেসে যাচ্ছে আস্ত একটা শহর। যেন মৃত্যু এসে ছুঁয়ে গেছে,
সফেনবস্ত্রে শৃঙ্গারহীন অমলিনার
চোখ ছাপিয়ে শোকের আদিম ধারা। হোটেলের এই ঘরে শীতের ছোবলের দৌরাত্মে্্য ঠায় বসে আছি
বোকা দর্শকের মত ,
অপেক্ষার এনামেল থেকে চুইয়ে
চুইয়ে ঝিরিঝিরি... আস্তে আস্তে বেড়ে
যাচ্ছে জলদের প্রলাপ।
গুরুগম্ভীর নিস্তব্ধতার আঁচড়ে থমকে থাকা এই সময় কি এক
বিপদের সূচিপত্র।যেন এই অকালশ্রাবণ গুটি গুটি পায়ে পাড়ি দেবে সারা ভূমে,খসিয়ে
দেবে সব শ্বাপদের ভেতরের সেই আলগা মাটির ক্ষয়িষ্ণু স্তর,তারপর অসহায় মাংসের
ভেতর থেকে খামচে বের করে আনবে তামসচ্ছন্ন আসুরিক সত্তার সেই বিরল কালোভোমরাটাকে।