তৈমুর খান
মেঘ আহ্বান
বুকপকেটেই সব থেকে যাচ্ছে
কাঙাল পুরুষের চিঠি
গোপন সংবাদ
নেহাৎ একটি অতিসাধারণ মোবাইল
ঠিকানা থাকলেও যায় না চিঠি
নম্বর থাকলেও কথা হয় না
শুধু মৃত এক প্রেমের লাশ
সারাজীবন বয়ে নিয়ে যাই
কত সাইকেল চলে যাচ্ছে পাশ দিয়ে
সাইকেলদের সুগন্ধী হাওয়া এসে লাগে
রাতে তারা এক একটি সাপ হয়ে আসে
ঘুম ভেঙে জেগে থাকি সাপেদের
নিঃশ্বাসে
জানালা কপাট খোলা, আয়
মেঘ
আমার উষ্ণ কপাল জুড়ে আয় —
আমার সোনালি সাধ ঝরে গেছে বলে
শস্য আর বুনি নাকো ঘোর কুয়াশায়
আমাদের নদীগুলি জন্মান্তর পেলে
আমাদের নদীগুলি সব ঘোর অন্তরিক্ষে
চলে গেছে
বিস্মৃতির তীরে বসে আমরা বাদাম
ভাজা খাচ্ছি
আমাদের ভোরের প্রেম ঝরছে টুপটাপ
কোন্ আলোকে দেখব নিজেকে ?
সম্মোহনের বাতাস আর নেই
উটেরা ফিরছে একে একে
আমাদের দূরদৃষ্টি নিয়ে চলে গেছে
অন্ধকার
অশ্রুগুলি পাথর হয়ে আছে
জ্যোৎস্নায় চিকচিক করে উঠছে তাদের
ঘুম
দু একটা মসৃণ বিড়ালের জীবাশ্ম
এখনও জ্বল্ জ্বল্ করছে শিকার ধরার
কৌশল
আমাদের নদীগুলি জন্মান্তর পেলে
গহীন অরণ্য বাতাসে নৌকা ভাসাতাম
সময়ের দাঁড়ে বসে পাখি ডাকত
সন্ধ্যা নামত আদিম পৃথিবীর ঘরে ঘরে
এমন দিনে
ভেলা নামাও, ভেলা
নামাও
তীরে একা দাঁড়িয়ে আছি
বর্ষাবেলায় ভরসা পেয়ে
সমাজসিন্ধু পেরোতে চেয়েছি
যাব যাব , যেতেই
হবে
মাথার উপর বিশল্য মেঘ
মনময়ূর নেচে উঠছে
নূপুর পরে নিচ্ছে আবেগ
উদাসীনের জানালা খোলা
ভীরু চোখের কাজল আভাস
বৃষ্টিবিন্দুর বর্ণে বর্ণে
ডাক দিচ্ছে শ্রাবণ মাস
এপার ওপার তোমার বাড়ি
আমি অচিন দূরের গ্রাম
কী বলে সম্বোধন করি
কেমন করে বলব নাম !