মন্দিরা ঘোষ
নষ্টপদ্য
মেঘ কি ছড়াতে পারে কাতরজল
অণুচক্রিকায় ছুটে যায়
রক্তান্ত উড়োজাহাজ
একটি মনে পড়া আলাপ
কেমন করে চাঁদফুলের বাজনা হয়ে ওঠে
উতল ঝরনার রিমঝিম লাবডুব
ঠোঁটের নামতা মুছি
স্তনফুলের গায়ে জারুলসন্ধ্যা নামে
একটা ম্যাগপাই উড়ে উড়ে নীল হয়ে যায়
ভালোবাসা মুড়ে রাখা বুকপকেট তখন
কষ্টপুকুরের মাছরাঙা
তোমাকে ঝড় ভেবে আজ
মেখে নিয়েছি সারা গা
যেখানে এখন জুঁই ফুলের ঘাম লিখে
রাখছে
নষ্ট
পদ্যের অভিমান
এক পশলা বৃষ্টি থামিয়ে দেবে কি
শিরা উপশিরার বায়না
ক্ষত
একটি গভীর বৃষ্টিক্ষত বলে দিতে
পারে
মেঘের ঘনত্ব কতখানি
কেননা ক্ষতের গভীরতা বুঝেই
কান্নার বেলুনগুলি উড়তে পারে
নির্দিষ্ট গন্তব্যে
খুব সকালে একঘর রোদ এসে যদি
মেঝেয় পুঁতে রাখে মেঘদুপুরের গান
সেটির বিস্তার বর্ষাঋতুকে মনে পড়ায়
ঝম ঝম বৃষ্টির পর একমুঠো বেলফুল
ভরিয়ে দিতে পারে ঋতুঘরের নিঃসঙ্গতা
তখন শরীরের বানান গুলি দিয়ে
অনায়াসে বানানো যায় একটি নৌকো
যেটি রাতের গভীরতায় ভাসতে পারে
কোন নদীপথ ছাড়াই
এক পশলা জীবন
না স্পর্শের কোন ঝাঁকুনি নেই
বুকের মধ্যে বাড়তি স্পন্দন নেই
হঠাৎ আবেগের বন্যাও নেই
তবুও রইলাম ছুঁয়ে
একপশলা বৃষ্টি এল অসময়ে
যেন দূরপাল্লার ট্রেন
সবকিছু অগ্রাহ্য করে ছেড়ে গেল
স্টেশন
সমস্ত সংকেত সাথে নিয়ে