অভিজিৎ দাসকর্মকার
অ্যালভিওলাই পথে অলেকানন্দা ছিটকে যাচ্ছে...
তবু মনে হয়
টিনের কাছে বৃষ্টির কৈফিয়ত-
আর কিছুই নয়
অসম্ভব ঠকঠক আওয়াজ---
এরা যেন এখনও একা
তাই পড়ে আছে
নদীর ইচ্ছে
ফুলের শিথিল স্নায়ুকোষ
আমার অক্ষম কোল বালিশ
বা
প্রতিটা সাধারণ শ্বাসকষ্ট
আর
মৃত শুক্রাণুর পাশে বসা ঘাম
আসলে বিকলাঙ্গ কান্নার উচ্চারণ মাত্র
কাচের গাল
তাতে শালুকফুলের কৃতজ্ঞতা
ক্রমশই অতিক্রম করছে নীলচে ছায়াকোষ
আমার রেটিনার কোণে
সেই স্রোতস্বিনীর আলগা শরীর-
সেখানেই
ঢলোঢলো শান্ত পিলু রাগ বাজে আটমাত্রায়
কোন শহরের অন্ধকারেই
তুমি হয়তো নিখুঁত থাকতে না
কারন
এখন আর কোন শব্দের ডেসিবল
বা হয়তো
মৃত্যুর কোন সংক্রমন নেই...
শ্বসনে বিজারিত জোনাকির বিচ্ছুরণ-
কোলাহলময় সরীসৃপ গুলো শুকোতে সুরু করেছে-
স্তব্ধতার সীমারেখায় চৈত্র সংক্রান্তির এক
পশলা বৃষ্টিপাত-
ম্যানগ্রোভের নোনা নিঃশ্বাস লেগেছে
আমার সাত দিনের বিশ্রামে...
আমি তখনও অনুকুল স্রোত আর ব্যর্থ প্রয়াসের
মাঝে উভচর-
শুনতে পাচ্ছো প্রচীন অন্ধকারে জলঢাকার
স্রোত
মাধ্যাকর্ষণের অগভীরে সাঁতার কাটছে
মৃত্যুর দিক---
ধ্যানস্ত হও
পোয়াতির কোলে সোঁতা গর্ভজল স্থির,
দ্বিধাহীন
আমার আইবুড়ো গৃহকোণের সুখে সুর্যছায়া
সেখানে ক্রিয়াবাচক অপেক্ষায়
সংক্রান্তিও স্নান সারে...