সেনালি পুপু
আষাঢ়
আশায় আশায় আছি
পড়ব ফোঁটা ফোঁটায়
জলের ছাটে
তোমার জন্যে লুকিয়ে থাকা
সুরের মীড়ে
নদীর ঘাটে।
তুমি কি আর গান শোনো না ?
সুর ভুলেছ ? চুমুর তাপ ও?
আমি ত এই বৃষ্টি ছিটেই
না হয় তুমি আমায় মাপো
সাদা চুলের ভাঁজের ফাঁকে
সব ভুলেছ
আদরকেও --
বর্ষা আনছে মেঘের চাদর
কাজের কথা ভুলিয়ে দিও।
মেঘ
কাব্য আর কবিতার মেঘ
আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত নয়
কোত্থেকে এত রসদ পায় কলম
কে জানে।
গরমে অতিষ্ঠ মানুষ
জলপ্রপাতের স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন বলেই
স্থির নিশ্চিত জানে সে জল
কখনো কাছে আসবে না।
কবি জলের ছবি মেঘের আদর
বানিয়ে দেয় অনায়াসে
একেবারে আষাঢ়ে গপ্পের মতই।
পাঠক পড়ে ভেবে শান্তি পায়।
কলম বর্ষার জলে ভিজে
জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে
ওষুধ কিনতে যায়
এক হাঁটু কাদাজল পেরিয়ে ।
এমন দিনে
দিন গুলি সব ছন্দ বিহীন
কাজ গুলো সব ছন্ন ছাড়া
জ্বলতে জ্বলতে চলল শহর
জ্বলছে মানুষ জ্বলছে পাড়া
একটু ছায়া কোথাও এসে
বলবে না ষাট, জিরিয়ে নেবে?
আলতো হাওয়া আঁচল হয়ে
শ্রান্ত কপাল মুছিয়ে দেবে
এইটুকু ত ইচ্ছে আমার
এক ফোঁটা একরত্তি চাওয়া
শ্রাবণ এসে ভরিয়ে দেবে
একটা ঘরের উঠোন দাওয়া
মেঘের আদর ঝাপসা হয়ে
এ দিক ও দিক ভিজিয়ে দেবে
সুদিন এবং সুচিন্তাতে
মন্দাক্রান্তা কূল ছাপাবে।