তানিয়া ব্যানার্জী
প্রতীক্ষা—
ভরা সন্ধে, অভিমানী
মেঘ আর একলা আকাশ।
একটি শিশু, হাতে
সাজি নিয়ে তন্নতন্ন করে
পলাশ তলায় ডুমুরের ফুল খুঁজছে,
আমি বললাম, ওমা!
ওটা তো পলাশ গাছ!
তাও আবার এখন অফসিজন- বর্ষা।
ও বলল, ওই
দেখো... পূবের কোণে কেমন
কুচকুচে রঙ, ওই
আসবে...
আমার ঘরময় তখন তোমার
"দেশ" বাজছে,
এলোমেলো হাওয়ায় সর্বস্ব উথাল
পাথাল।
জানলার বাইরে আজ আমি সমস্ত লোক
পরখ করছি কী নিখুঁত ভাবে...
খটখটে ভেতর ঘরে চাতকের হাহাকার,
কতক্ষণ এ পোড়া মুখ দেখেনি মান
সিংহের মুখ।
জাপটে ধরি দেয়াল ঘড়ির পেন্ডুলাম, আর বলি—
আ্যয় সম্যয় জারা থাম যা...
" মোরা সাইয়াঁ বুলাবে আধি
রাত "
বৃষ্টি
সুখের উল্লাসে
আবরন গেছে খুলে -
ভিজছি অবিরত,
চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ে শরীর ভেজা জল
মাটি ভুলে গেছে ধুলোয় জমা ক্ষত,
মুষলধারে ঝরবি আমি জানি,
মেঘ মেপেছি হিসেব বরাবর -
চোখ বুজলেই চেনা জলছবি,
তুলির টানে আঁকছি জীবনভর।
এক যুগ নয়, ঠিক কত যেন!
তোর আর আমার চিলেকোঠা ঘর!
ছেড়েদে নাহয়! ... গুনে কাজ নেই,
প্রবল বর্ষা, শুধু কাঠের ওজন কর,
মানের ঘড়া পূর্ণ হলে জানি-
তেষ্টা বাড়ে দ্বীগুন...
চিলেকোঠাময় শুধু দুই ঋতু --
" বর্ষা আর ফাগুন "
শ্রাবণ
যেন কয়েক দশক বাদে...
নতুন শ্রাবণ এলে,
একবুক চেরাপুঞ্জি সুখ।
ঘরে ফিরে গেছে,
ছেঁড়া ছেঁড়া --
শরতের মেঘ সমূহ।
এবার আমি বৃষ্টি হব......
মুক্ত আকাশ বেয়ে,
ঝড়ে পড়বো আমার সবুজ অঞ্চলে।
ওহে, শ্যামল সুন্দর, তোমার এযাবৎ,
ধুলোয় মোড়া সকাল গুলো!
বৃষ্টিস্নাত হয়ে মিশে যাবে
তোমার পায়ের তলায়....
শুরু হবে,
পায়ে পায়ে পথচলা।