শর্মিলা
ঘোষ
ট্রামলাইন
একটা
বৃষ্টির রাতের কথা বললেই সবাই চুপ করে থাকে
,
কিছু
বরফের কুচি যেন উত্তর সাগর থেকে এনে কেউ লেপে দিয়েছে সারা শরীর জুড়ে,
কি
একটা রহস্য এখুনি প্রকাশ হবার ভয়ে সবাই এলোমেলো অপ্রয়োজনীয় কথা বলে,
আষাঢ়ে
মেঘ জমে সূর্যের বুকের ভিতর,
আর
অন্ধকারে বৃষ্টি সুধা পান করে ফাঁকা ট্রামলাইন,
হাঁটুজল
পেরিয়ে এমনই কোনো আষাঢ়ে রহস্যের গায়ে প্রজাপতি আঁকা হয় জল রঙে।
মেঘ-টোপর
কফির
পেয়ালা জুড়ে সমুদ্র নেমে আসে ,
রেস্তোরাঁ
ভাসে প্রেমে
বাইরে
ভরা আষাঢ় তখন
হাতেহাত
জ্যামিতিক নিয়মে,
এমন
কোনো মহাকাব্য রচনা হোক
মিছিলের,
হৃদয়ে
প্রেম আর বুকেতে স্বপ্ন নিয়ে
রঙীন জামা পরা লোকগুলো হেঁটে যাক
গড়ের
মাঠ ধরে,
লেকে কিংবা
বইমেলাতে;
আসলে
উদযাপনটুকুই তো
জরা-জটিল
সমাজের থেকে বেরিয়ে
আসার ইতিহাস,
বৃষ্টির
আঘ্রাণ নিয়ে মেঘ-টোপর এর স্বপ্ন
বোনা,
ইলশে
গুঁড়ি গায়ে মেখে আদুরে অভিমানের হিসেব গোনা।
জলতরঙ্গ
মরতে
গিয়েও যখন মরতে পারিনি,তখন বদলে দিতে চেয়েছি জ্যামিতিক নক্সা ,
কালপুরুষের
কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চেয়েছি কোমরবন্ধ,
শানিত
তরবারিটা একবার বাম একবার ডান হাতে নিয়ে শিখে নিয়েছি সম্মুখ যুদ্ধ,
আসলে
কিছু ভীতু গণতন্ত্রের পরিকাঠামোর মধ্যে কাটিয়ে দিয়েছি সব কৈশোর ও যৌবন,
একটা
অলীক সাম্যবাদের আলো চোখে মেখে সব মৃত্যুর হিসেব কষেছি,
এবার
বৃষ্টির জলে শব ভিজে গেলে
জলতরঙ্গ
বেজে ওঠে
রিক্ত
ধমনী জুড়ে,
বেলোয়ারি
কিছু শব্দ নেমে আসে সমতলে,
যেখানে মুক্ত বাতাস বেহাগ সুরে বাজে,
সময়
তোমার হিসেব শুধু জন্মে শুরু ,মৃত্যতে শেষ।