লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল
ভাসতে চাই না কখনো
শূন্যতা
বাড়ছে খুব ,
ভীরু রাত থেকে ভেজা ভেজা চোখ নিয়ে
তৈরি করেছি কয়েকটা জানালা , অন্ধকার গড়িয়ে যায় -
কালো পাতার উপর থেকে পাল্টে ফেলছি নিঃসঙ্গ দহন
থরথর কাঁপনের ধমনী দিয়ে উর্বরতা আসে
অস্থাবর বাতাসে
ভেজামাটির শিহরণে নামছে উদাস চাঁদের জল
অপেক্ষার সীমানায় ধোঁয়া কুণ্ডলী ; মেঘের
মুখে কথা নেই
সব ঈর্ষায় খড়বিচালির আবেগ আর চোখের পিচুঁটি
মহাশূন্যবোধে এক জোনাকি ইহকাল
জলের গভীরে ডুব দিতেই আবছা আলোর
কষ্টফোঁটাগুলি
সমুদ্র পেরিয়ে যায় , সব চুপচাপ নীল -
ভাসতে চাইনা কখনো সেখানে শূন্যের চোখ
গাছ ছায়া পাখির পালক সরিয়ে শুধু
আজন্ম আকাশ
জমানো কথায় যুগান্তের ঝরাপাতা
নিরাশ্রয় গোত্রের মাঝে উড়তে থাকে
বুনোহাঁস
আমাদের পথটি এঁকেবেঁকে আঁতুড় ঘরের কাছ
দিয়ে চলে যায়
আজ বর্ষা হোক
ডেকে উঠছে হা ট্টি ট্টি ,
অন্ধকারের সুর দেওয়া টানা
শব্দের রাইচকের মাঠ , একটা ধ্বনি মাথার ভিতর থেকে বেরিয়ে যেতে চায় নিঃশব্দের দিকে । দূরত্ব
কমাতে চায় আকাশের ঘনায়মান সংকেত - তার
ভেতরেই লুকিয়ে আছে ভিজে যাওয়ার আর্তস্বর
- পাশ দিয়ে লাফিয়ে চলে যায় কালচিতি,
এত নিঃশব্দে , এত গোপনে - গড়ে উঠছে এক একটা
কোশের মতো এক একটা ইট - আজ সব মেনে
নেব - বাসক বনের থেকে নেব দমকা বাতাস , এক পুরুষকে ঘিরে আজ বর্ষা হোক
। মাত্র একবার তার ফাটলে ফুটে উঠুক দরদি
ফুল -
এসো বৃষ্টি ক্ষয় দাও
ধস বেয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে ছাই ।
আগুন নিয়ে খেলার স্বপ্ন দেখে দেখে
ওরা স্রোতের দিকে তাকিয়ে থাকে ফ্যাল ফ্যাল
শরীরের চামড়া কুঁচকে জড়ো করে খরা
বিসর্জনের পর বিক্ষত প্রতিমা বসে থাকেন
অশ্বত্থ তলায়
এসো বৃষ্টি, ক্ষয় দাও
পাতাঝরার পর দখিনা বাতাসের নূপুর
পিঠে শঙ্খচিল নিয়ে আকাশও তাকিয়ে থাকে কিশলয়
আভায়
এসময়
কত আঁধার রাত , অষ্টাদশী অন্তরা স্বরলিপি
খোঁজে
ফিনিক্স দক্ষিণায়নে