টিপ্লু
বসু
হারানো সেফটিপিন
বিসকুসুমের বনে
লুকিয়ে রেখে এসেছ
চুলের কাঁটা
সেফটিপিন
অনন্য আল্পনা
বৃষ্টিজল এঁকেছিল
দুরারোগ্য মোহে
মেঘের দার্শনিকতা
দুর্দান্ত প্রতিরোধ ভেঙে
জলশব্দে নেমে আসে
পাতাঝরা বৃক্ষের
নৈঃশব্দ শুষে নেয়
ভেজা মাটি বালি
অজিহ্ব
বৃষ্টিসুরে মিলন আহ্বান জানায়
জাগতিক
জগৎ সংসার
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
তছনছ জলাশয়ে
সমস্ত আষাঢ় -
শ্রাবণ খোঁজ করে
লুকোনো চুলের
কাঁটা হারানো সেফটিপিন
অন্নসত্র খুলে দেবে বলে
শব্দদাবানলে
ছারখার তরজার আসর
বৃষ্টি আজো নিয়ে আসেনি শব্দজল
মেঘে ও মন্দ্রে
এখনো আষাঢ় গ্রীষ্মাবকাশের
ছায়াতপে বসে
ভরে নিচ্ছে
নিজস্ব কলস
অ-সুরের রাজ্যে
মল্হার রাগের বিস্তারে ----
মিঞা তানসেন নয়
অন্য কেউ
পরিচিতিহীন
অন্নসত্র খুলে
দেবে বলে
গাইতে গাইতে
এগিয়ে আসছে
দাবানলে
বিপর্যস্ত এই পোড়া দেশে
বৃষ্টিরেখা
মৃত্যুকুহেলী নিহিত রেখে দেয়
মৃত্যুর না জানা
কারণ
শীত গ্রীষ্ম পার
করে একদিন
বর্ষণসিক্ত হয়
মাটি পাথর
অনুক্রোশে হেঁটে
যেতে যেতে
হৃদয় থেকে চ্যুত
হয় বৃষ্টিরেখা
সঙ্গসুখের বাঁধন
দৃঢ় হলে
কামনার জন্ম হয়
বৃষ্টিরেখা বরাবর
পরিক্রমণ
শেষ হয়ে এলে
প্রিয় সুখ
মুখোমুখি বসে
ঝিরি বৃষ্টির
ভিতর পারদর্শী হয়
কথাতুর হৃদয়
দুর্বলতা
অতঃপর এইসব
সর্বনাশা সময়
বৃষ্টিরেখার
পরপারে নিয়ে যেতে চায়
আমি সে ও সখা
হাতে হাত রেখে চেয়ে থাকি
মৃত্যুর না-জানা
কারণ- অভিমুখে