লক্ষ্মী নন্দী
বৃষ্টি
তোর সাথে
যাপনের,
তীব্র মাদকতায়
মোহিত আমি।
তোর মুহূ মুর্হূ
শরীরী স্পর্শ
উচ্ছ্বাসের
যে তুমুল তোলপাড়
তোর সেই অতর্কিত
ছুটে আসা
উদ্দাম অথচ শান্ত-
চঞ্চল অথচ
গম্ভীরতাকে
নিষিদ্ধ প্রেমিকেরর
মতোন
ভালোবেসে
ফেলেছি...
জীবনের শ্রেষ্ঠ
অ্যাডভেঞ্চারের
মুহূর্তটিও
কাটিয়েছি
ভালোবাসার
উন্মাদনায়
তোর সাথে।
তোর সাথে
গোপনে গোপনে
ভিজেছি কতো-
গোপনে গোপনে
তাকিয়েছি
জানালায়
সংলাপ শুনেছি
নিবিড়, নিরবে
তোর এই অর্নগল
যাওয়া অাসা!
তোর ধারাবাহিক
চারণের মতন
জীবন যাপন
বড় সমালোচনার
হয়ে উঠেছেরে।
অামিও লজ্জিত
ক্লান্ত কলঙ্কিত।
এখন বিরতি ঘটুক
জাগবে জানি
দূরত্ব হলেই
বিরহ
তোর প্রতি
অাসক্তি প্রেম
তাই তো তোর
অবগাহন
ধুইছি অাতপ
স্নানে।।।।।।।।
গুপ্ত অহংকার
কতদিন অনিচ্ছা সত্ত্বেও নদী
হয়েছি। সাঁতারও খুলেছি ।
কিন্তু যে-বার আষাঢ়ে একটা
আস্ত পুকুর এসেছিল আমার
উঠানে। আমি স্ব-ইচ্ছায় সেবার
প্রথম নদী হয়েছিলাম। সাঁতারও
কেটেছিলাম বেশ । সাঁতার
ভাঙতে ভাঙতে চাঁদকে দেখেছি
পুকুরের আয়নায়। দূর থেকে
পরকীয় জাদু দেখছিল চাঁদ।।
আমি তো মিলন পিয়াসী
নিরীক্ষা প্রবণ কবিরা যেমন
হেমন্তে বসন্ত বোনে , তেমনি
করে
ঋতুও অাষাঢ়ে বোনে শ্রাবণ।
অামি তো মিলন পিয়াসী
চুপি চুপি দেখি ঋতুদের অভিসার।
কখনও কান পেতে শুনি আকাশের
দ্বিধাগ্রস্ত নিরুপায় চিৎকার।
অাষাঢ় কখনও শ্রাবণ হয়ে
মেঘেদের আড়ালে নেমে আসে।
প্রিয়তমা ধরণীর শরীরে দেয়
ঝিরিঝিরি আলতো কোমল স্পর্শ
ধরিত্রীও ভেজে তৃপ্তির আশ্বাসে
সোঁদা গন্ধে বাড়ে শ্রাবণেরও
উন্মাদ মন্থন। ঘটে প্রবল
বীর্যপাত। তরলে ভাসে ধরিত্রী।
নিভে ধরণীর বুকের বারুদ।
জাগে সৃজন। প্রকৃতির সঙ্গম
এখন মানুষের মতোন স্থান কাল
পাত্র মানেনা -যদি জাগে অভিসার।
সোদাগন্ধে তুই অনাবিল
তোর সাবালোক চিৎকারে মৌনতা ভাঙে
তোর সাথে বাড়ে সখ্যতা
রৌদ্রের ক্লান্তি কাটে তোর বর্ষায়
তোর সাথে যাপনে ভেজে মন।
তোর সাথে শৈশবের অতীত রোমন্থন।
তোর রাগ আলাপে সরব হই আমি।
মহাশূন্যের চাঁদহীন, তারাহীন
আকাশের দিকে তাকিয়ে
আধবোজা চোখে - তোর অনর্গল
প্রেমের চুম্বন মুছি ভেজা আঁচলে
হই কব্যের মহা পরবে উচ্ছ্বাসি
কৃষি বউ বারবার অঙ্গীকৃত হই
ভালোবাসায়।
অজস্র অবকাশ কাটে তোর সাথে
হাসা খেলায়। তোর ঝন ঝন বুলেটে
হাসে মন, নাচে
মন, জাগে শিহরণ,
মেঘেদের যাওয়া আসায় বারে তোর
লুকোচুরি।
আমার বান ভাসি মন হয় অভিমানী।
বিরহ জাগে অন্য ইমেজে।।