শংকর ব্রহ্ম
ক্ষীণ প্রতিচ্ছবি
সারাদিন বৃষ্টি পাত
সারা রাত
তোমার মুখের রেখা
ভিজে যায় জলে।
তবুও অস্পষ্ট কিছু
জেগে থাকে
উদাসীন ভাবে।
ডালিম দানার মত
দাঁতের গোপন ধার
কামড়ে ধরে
বুকের গভীরে।
সারা রাত বৃষ্টিপাত
সারা দিন
তোমার মুখের ক্ষীণ প্রতিচ্ছবি
জেগে থাকে আমার ভিতরে।
সুখের সন্ধানে
কোন এক বর্ষাকালে
সুখের মানে খুঁজতে গিয়ে
সুখের মানে বুঝতে গিয়ে
সুখের ভিতর ডুবতে গিয়ে,
ডুবতে ডুবতে অতলে যেই
তখন তো আর পাই না যে খেই,
দমবন্ধ হয়ে আসে
আসে পাশে যে আর কেউ নেই,
বাঁচার জন্য প্রাণটা তখন
আঁকুপাঁকু করতে থাকে,
হঠাৎ করেই ভেসে উঠি
মনের জোরে।
দু'চোখ মেলে তাকিয়ে
দেখি
দুঃখগুলোই ভেসে আছে চতুর্দিকে,
দুঃখগুলোই ভাসিয়ে আমায়
বাঁচিয়ে রাখে।
☞
পুনশ্চ
স্মৃতি সুর
মেঘলা দুপুর একলা নূপুর কে যে
বাজায় মনে
সকাল থেকেই তোমার কথা
ভাবছি বসে খুব
গোপনে,
ভাবছি কেন যে জানি না নিজে স্পষ্ট
নয় তা।
দূর থেকে শুধু দেখে মনে হয়
তুমি যেন আর চেনা কেউ নয়,
তবু কাছে এলে সব যাই ভুলে
লাগে যেন শুধু খুব
আপনার
বুকে বাজে তার স্মৃতি-সুর।
এই তো সেদিন বর্ষাকালীন মেঘ
জমেছিল নীল আকাশের বুকে
আমার বুকে তো আসেনি যে কেউ
পাপ বা পুণ্যে
কি হবে তাহলে, বর্ষা নামবে
নাকি তাহা আজ স্তগিত থাকবে অসীম
শূন্যে?
এই তো সেদিন জ্যোৎস্নাকালীন চাঁদ
ভেসেছিল আকাশের বুকে
আমার বুকে তো আসেনি যে কেউ
এখন কি হবে?
জ্যোৎস্না ছড়াবে চরাচর জুড়ে,
নাকি আজ তাহা স্তগিত থাকবে গভীর
শোকে?
এই তো সেদিন তুমি এসেছিলে
এসেছিলে শুধু, আর কিছু নয়।
আকাশের বুকে ছিল না তো চাঁদ
মেঘ ছিল কিনা দেখিনি যে
তাহা,
তবুও সেদিন আলো ঝরেছিল
বর্ষার মতো অঝরে, আহা।