গৌতম কুমার গুপ্ত
বৃষ্টি
মুষলধারে বৃষ্টি এলো ভিজে গেলাম
অন্তঃস্থলে
ভিজে গেলাম রক্তমাংসে
ভিজে গেলাম গোপন ছায়ায়
আমার ভেতর বয়ে গেল নদীর জল
একটি দুটি অজস্র উথাল পাথাল ঢেউ
ভিজতে ভিজতে বয়ে গেলাম স্রোতে
পাড়ের কাছে থমকে গেলাম
ওখানেতে আরো ভিজছে কেউ
যাকে চিনি মেঘকন্যা ভেজা চুলে
ভিজিয়ে দিলাম আরো আমার বৃষ্টি দিয়ে
এবার আমি সাগর হলাম
সসাগরা অধিপতি
তুমি আমার মেঘবালিকা হলে
আষাঢ়
প্লাবনে ভেসেছে আষাঢ়
রিমঝিম মাস ঝিমধরা বিকেল
নেমে এসো ভিজে যাই সহজ শ্রাবণে
আমার বাঁধা নৌকাখানি সচল হবে এবার
বাতাস বাইবে দাঁড় প্রতিকূল জলে
তুমি সহচরী হও আমার গমনে
দু চোখে সাঁতার ভাসাই এসো
হাতে হাত রেখে বলি
আমাদের আষাঢ় ঘনালো আজ মরণে
ধারাপাত
ধারাপাত জুড়ে আমিও থাকি
তুমিও থাকো বেশ
এ তো বৃষ্টিধারা, আগুন
তো নয়
মুছে যাক দহনের দ্বেষ ও ক্লেশ
বিদুর চমকালো আকাশে নাকি !
আকাশকালো হল বজ্রগর্ভ মেঘ
আজ মুক্ত হোক আমাদের
সবিশেষ আনন্দ ও আবেগ
এই আষাঢ় সজল ভরা বাদল
এতো বারিধারা আকাশে কাজল
চরাচর জুড়ে বারিষের অবিরাম ঢল
পরিণীতা বধূয়া তুমি মিছে ছল ছল