শ্রাবণী সিংহ
সমতারক্ষা
যে,বোঝে না,তাকে বোঝানোও যায় না
নতিস্বীকার যেন অপৌরূষের লক্ষন!
ধ্বংসের ক্রিয়াতেও আগুন জ্বলে না আর
নতিস্বীকারে
চাপ সৃষ্টি করাটাও...
তুমি মহীয়ান সূর্যের মত জ্বলে ওঠো
আমি ততোধিক কৃষ্ণপক্ষকে ভালোবেসে ফেলি
লিখি
স্বপ্ন-ভাঙাদের
দু:স্বপ্ন নিয়ে অজস্র গল্প-কবিতা।
সিমবায়োসিস
আঁকশি বুকে মহিমা কুড়োয় চাঁদ গনগনে
ফ্যানভাতের
আলোয় আলো ফেলে,
মানুষ জিতছে
মানুষই জিতছে শুধু যুদ্ধে ও
প্রেমে, পরাজয়ে
খিদে তো জেতে নি
মনেহয় মেঠো নির্বিষ সাপের গর্তে হৃদপিন্ডটাকে
খোলা ছেড়ে দিই
সর্ষেবীজ বুনে দিই রাবারচাষের বাগানে
ধোঁয়ার হ্যালুসিনেশন,
অসংলগ্নতা কাটিয়ে চিলচিৎকার দিই
কানের পাশ দিয়ে চলে যায় দেবতা
কন্ঠনালীতে মিশে আছে যে
'অস্তিত্বহীন'
বলা ভালো
এ সহাবস্থান সিমবায়োসিস।
বলেছিলে তুমি
বহুবার পান্তা ফুরনোর সাক্ষী হয়ে আছে
নুনের পাত্রটি...
তুমি বলেছিলে প্রিয় ঋতুটি উইল করে দেবে
যোগীডম্বুরের ডাল ছেয়ে আছে কুঁড়ের চাল
প্রার্থনার মত ঝরে যাওয়া শিলাবৃষ্টি
পান্ডুঝড়ে উঠান থৈ থৈ,
তেচোখা মাছেদের রূপালী উল্লাস দেখে
কে?
প্রিয় ঋতুটি উইল করে দেবে
তুমি বলেছিলে এই বসন্তে
কোনো অভাগিনীকে।
যোগীডম্বুরের ডালে
ছেয়ে আছে কুঁড়েঘর