শীলা বিশ্বাস
চতুর্থ
লিঙ্গ ওরফে পিশাচ লিঙ্গ
অপারেশান টেবিলে মাংস রাখা আছে । বিভিন্ন বয়সের নানান কিসিমের । কিডনী ট্রেতে
সূচ, রড , ব্লেড, জ্বলন্ত সিগারেট । যে মাংসে যেটি ভালো যায় । প্রথম টেবিলে কচি মাংসে আলো এসে
পড়ছে । পাশেই উনানে গরম জল ফুটছে। সুচ বিধিয়ে দেখে নেওয়া হলো বিভিন্ন কোন থেকে।
গরম মশালা ও কুকার প্রস্তুত। দ্বিতীয় টেবিলে মাংসে রড ঢুকিয়ে পরীক্ষিত কত বড় পিশাচ
যন্ত্রের প্রয়োজন। তৃতীয় টেবিলে ব্লেড দিয়ে দেখে নেওয়া কোন অংশ বাদ দিলে আর কোন
অংশ প্রশস্ত করলে পিশাচের আনন্দ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায়। অন্ধকারে ক্রমশ মৃত্যু
নামে । অন্ধকারে যথেষ্ট আলো পড়লে কখনো পিশাচ ধরা পরে যায় ।
খবরে মোমবাতি মিছিল । পরস্পর
দোষারোপ । ধর্মের
ঘোল খেয়ে যোনির ভিতর গোটা দেশ
সেঁধিয়ে যায় । তারপর একদিন দুপক্ষই থেমে যায় একথা মেনে নিয়ে যে আমাদের ঘরেই পিশাচ জন্মায় ,
বড় হয় কিন্তু মানুষ
হয় না । মনিপুরের মায়েদের মত নগ্ন হয়ে
রাস্তায় নামি । চিৎকার করে বলি নির্ভয়া থেকে আসিফা সকলের আমি
মা । আমাকে আগে ধর্ষণ কর । আমার চিৎকার কোথাও পৌঁছায় না । হে দুর্ভাগ্য দেশ , আমি তো কেবল শৈশব ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম ছোটো ছোটো ফুলদের । আমি নারীবাদী হতে চাইনি। নারীবাদী বোল না আমায় । শুধু পিশাচ লিঙ্গের থেকে রক্ষা
করতে চেয়েছি মানবতাকে ।