সোমবার, ২১ মে, ২০১৮

পৃথা রায় চৌধুরী


পৃথা রায় চৌধুরী

মানুষ, পিশাচ বা দেব

অলৌকিকের গল্প বলি, বলি মায়ের দেবধর্ষিতা হবার কাহিনী। বলি, শোনো। গর্ভাশয়ে পাপবীর্যের মেয়েভ্রুণ সমেত ছিঁড়ে নিচ্ছে মহানারী। দেবদল, চেয়েছিলে নিজ নিজ বীর্যের নিষেকে ভ্রূণের পিতৃত্ব, মহানারীর মহাকন্যা ভ্রূণ! ক্ষমতা অসীম!


কোন গাছে ফলিয়ে দিলে আদরের বোন, পবিত্র দেবপুরুষ, পাপাত্মা দেবকুলের কলঙ্কসম। গ্রহাধীশের আঁধার নিয়ে আসে পবিত্র কাকের ডানা। আঁধারে আলো, বীজবতী হও ফল, অঙ্কুরিত হও বীজ। রক্ষার্থে পুণ্যদেবগ্রহ রুখে দেয় পিশাচদৈবের দৈবপাপ।


অশুচি কাল, দখল নিতে আসো ঔরসজাতার! মহাকন্যা বিষমাস্ত্রে সেজেছি মহারণের সাজ। মহানারী শুনেছো? শোনো তোমার নাজন্ম, নামৃত্যু রূপের পাশে দাঁড়িয়েছে আজ বিষাক্ত তোমার ছায়া, ঘৃণিত পিতার অবয়বে।


যে অস্ত্রে তোমরা মেরেছো, সেই অস্ত্রে শাস্তি দিয়েছি জীবিত থাকার। তোমরা দেখাও খুবলে খাবার ভয়, পরিপাটী সেসব বদলে ফেলি সামরিক বিদ্যায়, ঘৃণায়। দেব অথবা পিশাচের পুরুষকার এবার মেপে নিতে এসেছি আমি।