শ্যামলী রক্ষিত
বিকৃত কাম উৎসব
নির্বাসিত
মেয়েটির মুখ ভাসে,বিষন্ন
গম্ভীর মেঘের
মত।পৃথিবীর জলা ভূমি
উন্মুক্ত থাকে
যাদের জন্যে।পগারের
ঘাস মাটি ভিজে
ওঠে রক্ত স্রোতে,
অর্ধ উন্মিলিত
চোখ তার,বুকে সবুজ
মাটি। সেই
উর্বর উপত্যকায় স্বপ্নবীজ
বুনেছি
একদিন।বনলতার মত নীল
দৃষ্টি মেখে
চোখে ভাসিয়ে দিয়েছো
ভেলা আমার হৃদয়
গাঙে।আমি দাঁড়
টানছি তোমার
স্মৃতির পসরা নিয়ে।
তোমার আকুল
কান্না যেন অরণ্যের
গান হয়ে বাজতে
থাকে। ইতিহাস ও
একদিন ভুলে যায়
বেমালুম,ক্রমশ
মিলিয়ে যেতে
থাকো তুমি সময়ের
মখমলি
গায়ে।গল্প হয়ে থেকে যাও
জীবনের কাছে।
শুধু ফাগুন এসে
দিয়ে যায়
আগুনের উত্তাপ।গোধূলি
বিকেল ছুঁয়ে
রেখে যায়,ভালবাসার
দাগ।দীর্ঘশ্বাস
হয়ে ফুটে ওঠে সে,
পরিশ্রান্ত
বৈশাখি সময়ে। তারপর
প্রান্তরের
মাঠে শুরু হয় যুগান্তের
ইতিকথা।প্রজন্মের
দূরত্ব এসে মুছে
দেয় আর সব
টানাপোড়েন যত।
পুনরায় জেগে
ওঠে উন্মত্ত যৌবন।
জলের মত বিকোয়
ভালবাসা,আর
আগুনের মত সব
কিছু গ্রাস করে
বিকৃত কাম উৎসব
- - - - -