সোমবার, ২১ মে, ২০১৮

প্রত্যূষা সরকার


প্রত্যূষা সরকার

নরখাদ্য

কান পেতে নাও ঘুপচি ঘরে, শুনবে লাশের কান্না
গলির মোরে শুঁকছিলে কী আস্তাকুঁড়ের ঘেন্না?
বেশ তো তবে, মজাই মজা, মোমবাতিতে রঙ ঢালো।
তীক্ষ্ণ সূঁচের খোঁচার থেকে ভ্রূণ হত্যাই ঢের ভালো।

--- এই যে কবি, ঠাণ্ডা ঘরে কটা কবিতা শেষ হল?
এই যে নেতা, সমাজসেবী, আজ তো মিছিল জমে গেল!
এই যে শুনুন ডাক্তারবাবু, ধর্ষণটা কী পরিকল্পিত?
এই যে পুলিশ, পয়সা খেকো, দোষীর শেষে কী হল?

আঙুল তোলা সভ্য মানুষ ধর্ম নামের ভাষণ দেয়।
সদ্যজাত মেয়ে-মানুষও লোভ-লালসার শিকার হয়।
বেশ্যা-পাড়ায় ভদ্রলোকে নগ্ন হাওয়ায় ঘোমটা দেয়,
দুগ্ধ-পোষ্য নারীর ছাওয়াল মায়ের জাতই উপড়ে খায়।

নেশার ঘোরে খুনীও নায়ক, চলুন তবে হাত তালি দি
আর কী বলি, বৃদ্ধ শরীর তবুও শিকার সন্ন্যাসিনী!
কান পেতেছি ঘুপচি ঘরে, লোহার রডে গর্ভাশয়
'নেক্রোফিলিয়া' পুরুষ রোগে মৃত নারীও ভোগ্য হয়।