সুকুমার
চৌধুরী
ঈশ্বর হে
অন্ধকার সিঁড়িতে থমকে রইলো
অভিমান
আর আমি ঘৃণার শেকল টেনে
লোভ ও পাপের যতো লঘুসিঁড়ি
মাড়িয়ে মাড়িয়ে
নেমে এলাম ঠান্ডা হিম শ্মশান
ভুমিতে
যেখানে চুল্লিচিতায় পোড়ে দাঊ
দাঊ আমার পৌ্রুষ
আর উঠে আসে পরিত্রাণ হোমধোঁয়া
কান্না ও কোরাস
ঈশ্বর হে এভাবে কদ্দুর যাবো
কতদূ্রে তোমার উদ্ভাস
প্রিয়জনবাবু
য়ারা আমার প্রিয়জন তাঁরা
আমাকে
প্রিয়জন নাও ভাবতে পারেন
কেন না প্রিয়জন হবার কোন
যোগ্যতায়
আমার নেই
আর যেহেতু তাঁরা প্রিয়জন
সেহেতু তাঁরা অনেক বেশী
সম্পন্ন ও গুণী
তাঁদের ইমেজ
খানিকটা দেবতার মতো প্রিয়তর
আর মাঝে মাঝে কিছু
দুর্গম প্রিয় জায়গায় আমার
প্রিয়মানুষেরা আসেন
তাঁদের পরনে প্রিয় পোশাকটোশাক
মুখে প্রিয় অভিব্যক্তি প্রিয়
সিগারেট
আমিও কখনো সখনো ভুল কোরে
প্রিয় জায়গায় এসে পড়ি
আর প্রিয়জন দাদাদের সাথে
দ্যাখা হোলে বলি ;
এই যে প্রিয়জনবাবু...... কেমন
আছেন ...
ভালো তো...... আমার
চিঠি......
আর প্রিয়জনবাবু প্রিয় হাসি
হেসে বলেন ;
মাপ কোরবেন...... ইয়ে আপনাকে
ঠিক ...
কোথায় বলুন তো......
অন্ধ
অন্ধমোহে যে যুবক ঘূরিয়ে নিল
মুখ
তাকে আমি কি দেব আজ
কাঁটা ও কম্পাস
গান
নীল ধ্রুবতারা
নাকি বীতশব্দ প্রত্যাশায় কাটাবো
লু-দিন
আর এক দিন
মোহমদে আর্তমুখ দেখে
উঠে আসবে অনাবিল
পাতালপ্রবাস
নির্জন
বরং প্রয়াস ভালো
যুদ্ধ ভালো
ভালো ওই শকুনে-শিকার
স্বেদকল্প
নুন
ব্যর্থ হওয়া ভালো
ভালো খেদ
প্রত্যাখানবিষ
নির্জন যুবক
শুধু লোভ ভালো নয়
ভালো নয় একা একা
হেমন্তের ভোরে
বিকল্প গরল
কিম্বা
মেহন-অসুখ
জীবন
ঞ্জীবন চাঁদিই বোঝে চাঁদ ততো
অনিবার্য নয়
তবু আমি আকাশের দিকে বাড়িয়ে
দিলাম
আমার শীর্ণ দু হাত
আমার ভাতের থালা কেড়ে নিয়ে
গেল মহাজন
আর প্রতিবেশী জীবন এসে দিয়ে
গেল
ছোলামুড়ি দীপঙ্কর জ্ঞান
আমি পেটে গামছা বেঁধে চেঁচিয়ে
বললাম
হে জীবন তুমি সুন্দর ও
শিল্পময় হোয়ে ওঠো
আমাদের সম্মিলিত ভালবাসায়
লটারির টিকিট কিনতে কিনতে
বুড়ো হোয়ে গেলেন বাবা
আমি তার অভিমানী প্রত্যাশায়
লিখে রাখলাম
সত্য শিব সুন্দরের গান
আমার পোশাক ছিঁড়ে নিয়ে গেল
শাইলক
আর কোথার থেকে একদিন জীবন এসে
বলল
তুমি কি পাগল দিগম্বরের মতো
দাঁড়িয়ে রয়েছো
চোদ্দোপুরুষের ভিটেয়
আমি বললাম শুদ্ধতার দিকে
হেঁটে যাক
আমাদের ছদ্মজীবন
ঢিল হাতে আমায় তাড়া কোরলো
জীবন
আর আমি দৌড়তে লাগলাম সুন্দর ও
শিল্পময়
জীবনের ওপর দিয়ে
পিঠের ওপর দমাদ্দম পড়তে লাগলো
ঢিল
রক্তে ভিজে গেল আমার জন্মভুমি
আমাদের সত্য শিব জীবনের গান
আর এ ভাবেই পিছু হটতে হটতে
পিছু হটতে হটতে
আমি এক্ সময় বলে উঠলাম
রক্তের মতো উষ্ণ আর পরিশ্রুত
হোয়ে উঠুক
আমাদের বেঁচে থাকা
শরীর চুঁইয়ে পড়তে লাগলো
রক্তের ধারা
আর লুটিয়ে পড়ার আগে শেষবারের
মতো
আমি এক সময় আকাশের দিকে ছুঁড়ে
দিলাম
আমার ক্ষুব্ধ দু হাত