শ্রাবণী
সিংহ
চৈত্রের ডায়েরি
থেকে ...
অতঃপর মার্চমাস,
কিছুটা বদল। জলহাওয়া
অথবা সাময়িক কিছু --
শুস্কতার কোন জেল ঘষে দিই, অ্যালোভেরা ছাপ
সেলুলোজ থেকে প্রাপ্ত শর্করা
কলসী উদ্ভিদের মরণফাঁদে
মনষ্কামনার সুতো বাঁধা মাহুতের বন
সরে যায় গারোপাহাড়ের দিক,
মাঠের হেলেঞ্চা রেখে উঠোনের পাশে
কারা যেন যুদ্ধপ্রস্তাব রেখে যায়
অবহেলায়
নাকি ঈর্ষায়!!
খয়ের-রং ডায়েরি থেকে উড়ে যায় পাতা কিছু,
না-লেখা চৈত্রের
মনোলগ
হাত বাড়াই
ঝোপের দিকে একটা-দুটো রঙ্গন মুখ লুকিয়ে, গন্ধহীন
আশ্চর্য! এই তরতাজা হলুদের সাথে
গুলিয়ে যাচ্ছে মলমাস!
ফুল বললেও প্রশংসাই বুঝি,
আড়াল থেকে দেখতে ইচ্ছে করে
পড়শিবাড়ির ছাতবাগান...নাকি সল্লু মালী?
দুটি-একটি ঝাউ আমার বেড়ে উঠছে অযত্নে
একচিলতে বারান্দায়
খু
উব দেখতে ইচ্ছে করে
পাথরে পাথর ছুঁয়েছে
নাকি রাতারাতি ট্যাবুর দেয়াল?
জাতের কুমড়োটিও পুরুষালি লাগে, আকর্ষক
নতুন ছন্দে নতুন মায়া জাগে ফের ...
মৃত অক্টোপাসের মত বিচিত্র গাছের গুঁড়ি!
নুড়িপাথর গড়িয়ে যাওয়ার দিকে চোরাপথ কৌমদের
খুব গহীনে গিয়ে
আর দেখা হয় না...
কৃষ্ণচূড়ার শ্লথ ছায়ার ঘর
থেকে
জেগে উঠে ঘুমন্ত শীতপাইথন ,
ছিটকে যায় পাখির মৈথুন,
প্রলাপ চৈত্রের ..
রক্তে নেশা
দু-দুটো লম্পট ঘুড়ি কখন শকুন হয়ে গেল!
পায়রা ওড়ালেই কি শান্তি আসে পেছন পেছন?
কই, না তো
ফনা তুলে আছ, আমি তেমনি নত ...
হাত-মুখ পোড়া দুপুরে
ঘড়া থেকে জল গড়িয়ে নিচ্ছ ঢক্ঢক্
জল
তো নয়, পাতাল চুঁয়ে আসা
দূরাগত খনিজ বিরহ