রবীন
বসু
সিরিজ : ভবিতব্য
১
বাজে মেঘ
আলো শুধু
ধ্বনি শুষে নেয় l
গূঢ়ার্থ বোঝাবে বলে
বৃদ্ধ শকুনি
শিক্ষকের পোশাক খুলে ফ্যালে l
পোশাক কী কোন শালীনতা জানে?
সব চাকচিক্যময় শোভনতার নিচে
প্রকৃত অন্ধকার জড়ো হয় !
২
প্রকৃত সভ্যতা ঘিরে
মানুষের পদচিহ্ন
যতটুকু শিল্প এঁকে দেয়
বেনিয়ার ফন্দি তাকে
কর্পোরেট রাম্পে হাঁটায়
নিয়নসন্ধ্যা শুধু হাততালি দেয় l
আমাদের ভবিতব্য
অসহ্য কপাললিখন থেকে
জ্বরতপ্ত প্রলাপ তুলে নেয় l
৩
প্রলাপ বকতে বকতে
যে মতিচ্ছন্ন লোকটা
এইমাত্র কালভার্ট
পেরিয়ে গেল,
তার দীর্ঘ ছায়ায়
কোনও আঁকিবুকি কোনও
রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা
তা জেনে নেওয়া একান্ত জরুরি l
যেমন জরুরি আমাদের
মুখের অভ্যন্তরে যে বহুস্তর
প্রলেপ আছে, তার ছায়াও কি
ঘন কোন হিংসা ধরে রাখে?
৪
হিংসার যে মুখ আমরা চিনি
তার অভ্যন্তরে আর একটা মুখ
মুখোশ ঢাকা সে মুখের হদিশ
শুধু
ষড়যন্ত্রই জানে,
সমস্ত জানার পরেও
অজানা কিছু থেকে যায়
প্রাচীরের ওপারের শূন্যতায়
যা দোল খায়
ক্রমাগত…
হিংসা আর ওই শূন্যতা
ষড়যন্ত্রে মাখামাখি হয়ে
কুয়াশাঢাকা ফসলহীন মাঠে
কী দীর্ঘ
সন্ত্রাস তৈরি করে
৫
হেমন্তদিনের থেকে যে বিকৃতি
উঠে এল শস্যহীন প্রান্তরে
তাকে আল ডিঙোতে দিও না
ও শিশুর ঘ্রাণ চিনে গেছে
থাবায় রক্ত নিয়ে নিশানা শানায়
ঘ্রাণ শুষে সে অঘ্রাণে আসন পেতেছে
তার যাবতীয় কপটতা, উদ্দেশ্যের
নিমিত্ত
সুকৌশল আড়াল খোঁজে
তাকে তুমি সরলতা রক্ষা করার
দায়িত্ব দিও না