শেখ
সামসুল হক
একগুচ্ছ স্বাধীনতার
কবিতা
স্বাধীনতা চর হাজী গঞ্জ
শেখ সামসুল হক
জমির তোর খুব কাছে যেতে চাইছি
বিশ্বাস কর
যেখানে তুই সেদিন যেতে চাসনি
সেখানে জোর করেই ওরা তোকে
পাঠিয়েছিল
যাবার বেলা হয়নি দেখা
ছিলনা কেউ নিকটে তোর
শুকনো ঠোঁটে একটুখানি জল
ঢেলে দেয়
চোখের ধারা মুছিয়ে দিতে মা
জননী
তাকেও ওরা যেতে দেয়নি
এমন নিঠুর অসময়ে বড়ই একা কেউ
দেখেনি
গুলির ঘাঁয়ে কলজে ছিঁড়ে
রক্তে ভেজা দেহ নিয়েই বিদায়
হলি ক্যামন করে
পদ্মা তোকে আপন বুকে ঠাঁই
দিয়েই
খুঁজলো তার যে কতশত অতীত
জ্বালা
ঢেউ উঁচিয়ে সে কথাই বলছে যেনো
:
জমির আছে আমার কাছে
কেঁদোনা কেউ দেখবে তাকে
যে কোন এক ঝড়ের দিনে আমার
তীরে এলেই তবে
দেখতে পাবে ঢেউ নিয়ে সে করছে
খেলা
শক্ত হাতে রক্ত চোখে
জমির বিশ্বাস কর আজকে আমিও
তাই
তোর কাছে ভাই যেতে চাই।
স্বাধীনতা
চাইতে হবে কেন তোমার কাছে
বুঝতে হয় কে কি কখন চায়
মেধাহীন ধাঁ ধাঁ বাজির আসরে
সাজ সজ্জা করে কাটছে সময়
আমি চাইলে পেয়ে যাবো সবটা
এই জাতীয় আশা করা ঠিক না
তবে একটা কথা বলে রাখছি
সময় মতো সময়ের খেলাটা
খেলাতে না পারলে পরাধীনতা
অনিবার্য কাউকে ছাড় দেবে না
চাইতে হবে না জানি তারপর
একটা কিছুতো চাই চুপি চুপি
যে যাই বলুক তবু স্বাধীনতা
আসুক না ফিরে পথ হারাপথে।
স্বাধীনতা সুখে দুঃখে
স্বাধীনতা আছে মাধবীর সহজ
সত্য ভাষণে
সামাজিক দীর্ঘ জঞ্জালের সকল
তুলে ফেলার
সহজিয়া কারুকর্মের উপায়
খোঁজার সময়
দেখছি না কাছে কোথাও তাহলে
এখন কি হবে
লড়াই এই ঘরে বাইরে যেখানে
সেখানে
বেঁচে থাকার দেশ বাঁচে এমন
একটা যুদ্ধের
প্রতীজ্ঞার কাছাকাছি
রাত্রিদিন জেগে আছি
সমবেত অঙ্গীকার উচ্চারিত
চারদিকে
উর্বশীর রাগ অনুরাগ কেবলি
মিথ্যে গরলে
সময়ের মোহে তারপিন ঢালছে
মিথ্যে বেঘোরে
জানা নেই তাল বেতাল খেলার জবর
খবর
এই ভাব কেড়ে নেবার কৌশল সবই
দখলে
ধরপাকড় করে লাভ নেই যেমনটা
চলছে
চলবে অধীন কঠিন দিন হতাহত
বলাকা
ডানা ঝাপটায় ভুলভাল কাদাজলে
মাঝ পথে
কিছুই করার নেই দূর থেকে দেখা
দেখি ছাড়া।
বীর বাঙ্গালী
রক্ত খরচে লেখা বাঙালী জাতির
নাম মুছে ফেলা যাবে না কখনো
তৈমূর চেঙ্গিস ক্লাইভ ইয়াহিয়া
ব্যর্থ চিরতরে বার বার
গোলাম মীরের হাঁক ডাক শোনার
সময়
পাবে না কেউ বিদ্রোহী পদ্মার
ঢেউ
জেগে আছে জেগে থাকবে আনন্তিম
কাল
রবীন্দ্রনাথ বঙ্গবন্ধু কালে
কালে
মহাকালে সাহসের পারাবত
জেনেছে বিশ্ব জানাতে চাই
চাঁদকে
মঙ্গল বাসীকে আর যারা আছে
অন্য গ্রহে
আমরা বাংলা ভাষী বীর বাঙালী
হারতে জানিনা কখনো
মঙ্গলেও দেখা যাবে বাঙ্গালীর
সফলতার সোপান।
আওয়াজ তোল
কুসুমিত দিবস রজনী আর নয়
যুদ্ধময় জীবন যাপনে ব্যস্ত আজ
পদ্মা তীর বুড়িগঙ্গা নদী বেড়ি
বাধ
সবখানে জাগ্রত জনতা রক্ষা নেই
তৈরী হও বলছে সবাই এক কথা
একাত্তর ডাক দিয়ে যায় শুনে
নাও
কি বলছে সফেদ পাঞ্জাবী
বজ্রকণ্ঠ
ভুলে থাকা যাবে না সময় খুব কম
বের হও সবুজ পতাকা স্পর্শ কর
আজন্মান্ধ হায়েনা শকুন
পিছুটান
দিল বলে সাবাস বাঙালী ধন্যবাদ
দিকে দিকে আওয়াজ তোল জ্বালো
জ্বালো।