শুভাশিস
দাশ
কটু রেখে দিও
বসন্ত বাতাস বইলে
শব্দ গুলো কেমন শিরশিরিয়ে ওঠে
রঙের এই উন্মত্ত সময়
বেয়াদব হয়ে ওঠে যখন তখন
আমি পলাশের কাছে রঙ চেয়ে
এঁকেছি বসন্তের রঙিন ছবি
তুমি সব রঙ ঢেলে একটুও রাখলে
না
এখন সঞ্চয়ের সময়
আর কবে শিখবে বলো প্রকৃতি
পাঠের
শুদ্ধ নাম গান ?
অন্তত একটু আগুন রঙ রেখে দিও
সূর্যাস্তের জন্য l
নদীর মতো
ফিরে আসবার সময় মাধবী বলেছিল
আবার এসো
আমি তো আসতেই চাই
আমি তো ভাসতেই চাই
আমি তো কবিতার শব্দে ডুবে
যেতে চাই
কতগুলো প্রশ্ন ইদানিং ঘুরপাক
খায়
মনের ভিতর
কতটা প্রেম দিলে ছোঁয়া যাবে
তোমার
আজান ঘরের চৌকাঠ
কতটা শুদ্ধ হলে তৈরি হবে
তুলসী মঞ্চ
এভাবে চলতে চলতে নদী বলেছিল
দেখো আমি কেমন বয়ে চলেছি
.....!
নস্টালজিক
একাদশী চাঁদের কাছে যে
দস্তাবেজ রাখা ছিল
আজ তাকেই খুঁজতে বেরিয়েছি পথে
কত দিন গরম ভাতের মুখ দেখিনা
ধোঁয়া ওঠা ফ্যানা ভাতের
রোমান্টিক সকাল
চারদিকে ধোঁয়া ওড়ে তবে হাঁড়ি
থেকে নয়
বন্দুকের কালো নলের আগা থেকে
!
স্নান ঘর
বাথ টব শাওয়ার আর সুগন্ধি
সাবান শ্যাম্পুর মতো
ক্ষণস্থায়ী আমাদের এই যাপন
সাময়িক আনন্দে ভরপুর হৃদয়পুর
নগ্নতা দেখে নিজের কাছেই চেপে
রাখি হাসি
অনেকটা আমাদের নিয়ে বিদ্রুপের
মতো
বস্তির ফুলতির স্নান ঘর নেই
ছেঁড়া শাড়ির আধখানা টাঙিয়ে পবিত্র হয়
পাশের ঘরের বুড়ো ভামটি সবসময়
কুদৃষ্টি কেমন ঘেন্না লাগে ফুলতি র
পবিত্র হতে গিয়ে নষ্ট হবার
ইঙ্গিত আসে
ছেঁড়া স্নান ঘরে
কে জানে পাথরের স্নানঘর কতটা
সূচিতা বহন করে !
বিবর্ণ ক্যানভাস
ম্যানহোলে লুকানো লাশটি গত
রাতেই রাখা ছিলো
ঢাকনা দেবার সময় অপরাধী চিন্হ
রেখে
যায়নি তাই খবর করতে গিয়ে কোন
ক্লু দেয়া গেলো না
যে ছবিটি এই মুহূর্তে শেষ হবে
বলে শিল্পীর ক্যানভাস টা নড়ে উঠলো
তার ছবির সাথে হুবহু মিল ওই
লাশের
আসলে এখন বিবর্ণ ক্যানভাসে
এভাবেই আঁকা হয় আমাদের অবক্ষয় l