দেবাশীষ
কোনার
প্রথম আলো
সেদিন আমার কাছে কোন তথ্য ছিল
না
আজও আমি বন্দীশালা থেকে ফিরে
এসে
ভয়ে কাঁপতে থাকি। চাঁদ হারিয়ে
যেতে পারে
আমি তো জানি যে তুমি আমাকে
দেখবে
কারন তুমিই জান কটা বসন্ত
আমার - - -
সহজ করে
বললে বলা সহজ , না বললে শক্ত
ভিন্ন আকাশ ডাকছে মলয় উদাস মিঠা গন্ধ
বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
শীত
জড়িয়ে আঁচল পা করে থির থির
হট যোগী ঐ এসে গেছে এবার আমি
মুক্ত।
ব্যভিচার
ছিন্ন সুতোর মালা কিছু
কিছু
রয়ে গেছে অনুভবে
গোধূলির আলো এসে হাজির বিনা
কারণে
মেঘেদের পিপাসা মেটেনি ।
অথচ বিষয়টা নিয়ে এই ধরনের
ঘটনা অনভিপ্রেত
যাকে সোহাগ করলে মানায়, তাকে আদর
করে
কাছে টানলে ক্ষতিটা কোথায়?
আর যদি তা না করে ফানুস ওঠাই
মুক্তি দূতের গান গাইতে গাইতে
গৃহ থেকে দূরে চলে যাই
জানি , আমার কথা শুনে মনে হবে
পাগলের প্রলাপ বকে চলেছি
আসলে ব্যভিচার এমনি সন্ন্যাসী
শ্বেত বিপ্লব
আমার এই বাঁকা কথা তোমার কাছে
গ্রহণযোগ্য হবে না
ভরদ্বাজ রাজার পালকি তবু নদীর
তীর বরাবর যায়
চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে
অসংখ্য প্রাণ
নিতম্ব স্পর্শ করে শুয়ে আছে
পোষা কুকুর
তার জিভ তার নখ তোমার খুব
চেনা --
তার পিটপিট চোখের ভাষাও
অপরিচিত নয তোমার।
পুরাতন অভ্যাস আমাকে তবু
বন্দী করে
সেজন্য হাতের যত শক্তি আছে,
পায়ের যত জোর এবং মাথার
গোয়ার্তুমি –
সব কিছু দিয়ে তোমাকে কাছে
পেতে চাই।
বুকের ভিতর আর সেই সাহস নেই –
আছে একটা অভ্যাস বোধ
একটা ঝোঁক আছে কেননা চোখে আলো
পড়ে
চোখ তখন জলে ভরে যায় –
উজ্জ্বল ঢেউয়ের মতো অক্ষর
দিয়ে শুরু করি পথ চলা
আকাশ ও নক্ষত্র, জলফোরিং
আর ফুল এই চেতনার সাথে কত কত
পতঙ্গ পাখি পশু মানুষ অনবরত
জন্ম নিচ্ছে এবং মরে যাচ্ছে
এক ধরনের বৃত্তের মাঝে তাদের
বিকাশ ও আয়ু
অথচ তেমন ভাবে কেউ ছুঁতে
পারছে না অক্ষরেখা
কান্না
অতঃপর ফুটে ওঠে ফুল কৃষ্ণচূড়া, অতঃপর আগুনের শিখা
বোতল খোলার শব্দ মদির নেশায়
বুঁদ হয়ে নদী যেন ঢেউ তোলে
আপেলের টুকরো নারীর স্তনের
সাথে তুলনীয়
কমলালেবু চুম্বনে নারীর ওষ্ঠ
দাগ এঁকে দেয়
ঝরাপাতা কুড়িয়ে নিয়ে
পুড়িয়ে ফেলি সমস্ত পান্ডুলিপি
মেয়ে মানুষের জন্য অলিন্দ
নিলয় গলে যায়
আনন্দ পান করতে করতে
চোখে আগুন লাগে, তাই ডুব দিই রূপসাগরে