নাসির
ওয়াদেন
অস্তিত্বের গান
শিরায় শিরায় আস্ফালনে
অনুচক্রিকা
জীবন্ত লাশের ভেতরে ক্রিয়া
করে
মাথার ওপর প্রত্যাশার
চৈত্ররাত
হত্যালীলা চলছে সারা ফাল্গুনে
শিমুল পলাশের রক্তে হোলির দাগ
বনভূমি দুর্মর বুকে মাথা তুলে
থাকে
ঝরাপাতার মায়াবী নৈঃশব্দের
ডাক
ডালের ভেতর কচিপাতা উঁকি মারে
এসো হে সুন্দর, মূর্তিমান প্রকৃতি-পুরুষ
ভাঙারাত অস্তিত্বের গান গেয়ে
যায় ।
ছায়ার ভেতরের কথা
বাউল গান গেয়ে গেয়ে ফেরে
খোয়াই
পাতায় পাতায় শুনি শিশিরের
ধ্বনি
নিঃশঙ্কার চরে রুদালি রোদের
ঢেউ
ছায়ার ভেতর মর্মরধ্বনি
ক্রন্দনের
চলে যেতে হবে,রেখে চলে যেতে হয়
ডালে ডালে অমৃতের পোড়া স্বাদ
ভালবাসা প্রজন্মের প্রতি
প্রজন্মের সুখ
চলে যাওয়া, শুধু ফিরে আসা
বারবার
আগামী রথের দড়ি
তুমি সুখি হলে আমার আত্মজ হাসে
বাজে বিদায়ের ঘণ্টাধ্বনি
অদূরে
অনুরণন শুধু ভালবাসা ছুঁয়ে
থাকা
চুপিসারে আসে জীবন্ত বিলাস
ভাঙানদী, বাঁশির সুর ধেয়ে আসে
রাতের আঁধারে স্ফুরিত
সন্তানের দেহে
কান্নাধ্বনি গুমরে গুমরে ওঠে
স্বদেশী
নবকল্লোলধারা বহে স্রোতের
প্রতিমে
নতুনের ডাক, চৈত্রের ভাঙাপাখির গান
রাতের ভাঙাচাঁদের ডানার ভেতরে
আগামী রথেরদড়ি টেনে নিও করদপথ
।
আর আমাকে ডেকো না
ঝরে পড়ে যাচ্ছে গায়ের বাকল
শরীরের লতাপাতা ফল-ফুল
কঠোর যাতনা বুকে চেপে রেখে
সৌরভ শুষে নিয়েছে অলিকুল
দেহরস জলে সিক্ত শরীর সুধা
নির্ভীক রাত, ভালবাসা হেকো না,
হৃদয় মথিত শোক তাপ জ্বালা
আগমন ডাক,আর আমাকে ডেকো না ।
ঝরঝরপাতা মর্মরধ্বনি
অপরূপশোভা
অঙ্গে বিহঙ্গে নবরঙে স্বপ্নিল
মনলোভা
শূন্যতা শুধু শূন্যমনের কোণে
নতুনের
ডাক দিয়ে বেঁধে রাখা
নবজন্মদিনের ।।
গভীর গহনে অভিসার
গভীর গহনে অভিসার চলে নীরবে
কেউ জানে না শঙ্কিল রাতের
পথচলা
নিয়ত টানে ভাগ্যের বেড়াভাঙা
আওয়াজ
রোদ্দুর পত্রহৃদয়ে পল্লীর
মেঠোসুর
কী মায়াবী রাত, জোৎস্নার ডালে ফোটে
বসন্তিকা বনপথে মায়াবিনী ডাক
দিগম্বর গাছের শীর্ণ ঠোঁটের
ভেতর
জেগে থাকা আগাম প্রজন্মের বীজ
পিচ্ছিল পথ,শ্বাপদসংকুল মৃত্যুর বিভীষিকা
কায়ার ভেতরে মায়ার রৌদ্র-ছায়া
খেলা
অভিসার শেষে গভীর গহীন অরণ্যে
নবোদয় সূর্যের দেখি সত্যের
প্রপতিত রেখা--