মণিজিঞ্জির
সান্যাল
জলছবি
কোনো একটা দিন কেমন যেন
আমার অভিমানী প্রেমিকের চোখের মতো
নির্জন থমথমে।
কোনো একটা রাত বৃষ্টিভেজা
ভালোবাসা, আদর, এলোমেলো
কথা
আর স্বপ্নের আগোছালো জলছবি।
অথচ তোমার স্পর্শে
গতকালের বিকেল যখন কমলা লেবুর রং ধরেছিল;
নীড়ে ফেরা পাখিদের ডানায় ধরা দিয়েছিল সেই রং;
গাঢ় হয়েছিল আমাদের অনুভূতি।
তখনও ভাবিনি
বিশ্বাস করো একবারও ভাবিনি
আজকের দিনটা একদম অন্যরকম হবে
...
বহু যুগের ওপার থেকে
এক একটা সময়কে
খুব চেনা মনে হয়
মনে হয় বহু যুগ ধরে ওরা মিশে আছে
আমার সমস্ত অনুভূতির ভেতর
এক একটা অনুভূতিকে
আমার খুব চেনা মনে হয়
মনে হয় বহু যুগ ধরে মিশে আছে
আমার সমস্ত অস্তিত্বের কাছাকাছি
কিছু শব্দ ভিড় করে আজকাল
চেনা অচেনার মাঝামাঝি বিলাসী দুপুর
ফুটে ওঠে কতো ছবি
ভেসে ওঠে পদাবলী সুর .......
নতজানু এ মন
গভীর ঘুমের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে
কিছু স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি
দুটি কালো চোখ আজো খুঁজে চলে
পৃথিবীর রূপ
অভিমানী মেঘেরা ভিড় করে
নীরবে কখন
এলোমেলো বাতাসেরা উড়ে যায়
ইচ্ছের নীলপাখা মেলে
নতজানু এ মন
বিশ্বাসের কাছে ......
ঝিনুক কুড়োতে কুড়োতে
চলো না আবার দ্বীপান্তর হই
তারপর তুমি আর আমি
মুখোমুখি।
ছেলেবেলার স্বপ্নগুলোকে
আবার আগের মতো।
চড়ুইভাতির রান্না করা মাংস
টানাটানি দুজনে।
স্বপ্ননিবিড় ছেলেবেলা
বাদামভাজা ভাগাভাগি।
ঝিনুক কুড়োতে কুড়োতে
কখন শৈশব থেকে কৈশোর
কৈশোর থেকে যৌবন
তারপর .....
তারপর অনেকটা পথ পেরিয়ে
আবার ছাড়াছাড়ি
আবার মারামারি
মান অভিমান
আবার মিলন
মিলনে সেই সুখ
সেই আত্মতৃপ্তি
বিন্দু বিন্দু বেয়ে পড়া
সবটুকু অনুভূতি
ক্লান্তিহীন রাত
ক্লান্তিহীন সমুদ্র
চলো না আবার দ্বীপান্তর
হই :::::::::
লাল সে সন্ধ্যা নদীর
জলে
কথার মাঝে কথার প্রদীপ
জ্বালিয়ে দিলাম হাজার তারা
নীল মাছেদের জলের তলে
ডুব সাঁতারে ঘুমের মাঝে
মন মাঝিটা ডুব দিয়েছে
কোন অতলে কোন সে বেলায়
মনের কাছে মনের হিসেব
চায়না দিতে কেউ অছিলায়
আমার আছে একটি নদী
সকাল সন্ধ্যা তার-ই তীরে
সূর্যাস্ত সূর্যোদয়
নিয়ম রেখার হিসেব ভুলে
লাল সে সন্ধ্যা নদীর জলে
হাজার হাজার কথার মালা
ভাসিয়ে দিলাম খোশ মেজাজে
মনের যতো বিষাদ জ্বালা
আমার আছে দু:খ কাহন
সাতকাহনের টুকরো স্মৃতি
সব-ই আমি জ্বালিয়ে রাখি
আমার মনের হাজার বাতি
সব চলে যায় যাক না সব-ই
তবুও আমার আমি আছি
টুকরো কাগজ শুধু আমার
আমার আমি বেঁচে আছি।