জ্যোতির্ময় মুখার্জি
আপেল-ভুল
এবং সমস্ত কিছুই
চুপচাপ
এইযে তুমি রাস্তা হলে
আপেল-ভুল অন্ত্যমিলে
আত্মঘাতী জলের
মতো গড়িয়ে
আত্মঘাতী জলের মতো গড়িয়ে
কাঁচা ঘুম ভেঙে।হাত-পা ছুঁড়ে
এবড়ো-খেবড়ো কুড়িটা বছর চুরি গেছে
অন্তর্বাসে ঢেকে কিছু ঘণীভূত রাত
ঝোলানো জামা-কাপড়ের
মতো
আলমারির পিছনে বা বইয়ের ফাঁকে
জমে থাকা ধুলোর নিচে
কিছু আঁকা-বাঁকা রেখা হেঁটে গেছে
ঝোলানো জামা-কাপড়ের মতো
অনিশ্চিত। অনিয়মত
শূন্য একে
শূন্য
স্বীকারোক্তি ও নীরবতা
কিছু অর্থহীন জায়মান আশ্রয়ের
তীব্রতম ইচ্ছা বা হলুদ ঠোঁটে
দূরে, আরো দূরে ক্রমশ
সম্পর্কহীন ঘূর্ণনে। প্রমাণিত নিজেকে
শূন্য একে শূন্য
ডিকোডে এলোমেলো সূচারু সন্তরণ
সাড়ে তিন হাত শরীরে
পবিত্র মৈথুন
মেয়েটি হঠাৎ প্রশ্ন করল….
আচ্ছা আমার মধ্যে ঠিক কী আছে ?
কেন ভালোবাসো ?
কেন চাও তুমি আমাকে ?
.
.
এখন কু ঝিক ঝিক নিজের ভিতরেই। যেখানে মোম গলেছিল। প্রশ্নটা ঠিক প্রশ্ন ছিলনা। উত্তর একটাই। তবাস্মি
বলতেই পারতাম। দ্বীধাহীন চোখে পাল্টে যাওয়া ঘুমনাম। বলা যেতেই পারতো ব্যথা আর কুয়াশা ছুঁয়ে হাতেখড়ি পালকের ওম। সরু গলিটার শেষে ওত পেতে নতুন নদী। পলি মেখে। ভেজা শাড়ির মতো। নখে নখে ঘু..ঘু..। শীৎ এবং শীত শেষে। সাড়ে তিন হাত শরীরে পবিত্র মৈথুন
না, বলা হয়নি কোনটাই। প্রয়োজন’ও তো ছিলোনা। বলা হয়নি স্নানঘরের সোঁদা অন্ধকারে গা ঢাকলো যে যুবক। তার পথ’ও তো অচেনাই ছিল। হাঁটতে হাঁটতে। এঁকে ফেলেছে একটা গাছ বা একটা পাখি বা আঙুল ফাঁকে আফিম-জোনাকি। বলেছিলাম তাকে পাখিদের কথা। বলেছিলাম তাকে গাছেদের কথা। বলেছিলাম কীভাবে ইন্তেজার আঙুল শেষে হলুদ হয় জোনাকি
সমুদ্রের মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখন সাঁতরাও বা দাঁড় টানো। একমাত্র তুমিই পারো রাই। আমার কবিতা ছুঁয়ে সবটুকু হেঁটে যেতে……..