দেবযানী বসু
একলব্যা
ঘুড়ি
আকাশের ফুল। নারীদিবসের ঐতিহাসিকতায় নুন ছিটে দেয়। ঘুড়িদের র্যাম্পে নারীরা
ঢুকবে কি করে? যদি কাটে সুতো... ব্যালকনি চুরি
যায় কোন ফাঁকে... ঐতিহাসিক চাঁদ ওঠে এখনও বঙ্কিমচন্দ্রের নায়িকার কপালে।
পদ্মিনী
জমানো
সেক্সচ্যাটের বহুমুখী প্লাগ। রঙিন ঘুড়িদের হাততালি। পঞ্চভূতে লাবণ্য ছড়িয়েছে।
ঘরে বুদ্বুদ ফোটে। ঘুড়ির বাকল আমি পরতে চেয়েছি। রিসাইকেল বিন থেকে ফিরে আসে অব্যবহার্য
মনস্তাপ। বুদ্বুদশরীর ক্লান্ত ভারি মনের ছোটাছুটিতে।
বন্ধনী
কবর
ছিল বলে হাড়গুলো দেখতে আসি। হাড় জ্বলে আর জ্বলে। একদিন রণপা জেগে উঠেছে। আর
উলগোলায় ভর দিয়ে ঘুড়ি উড়ে গেছে। ঘুড়ির আঁতুড় ঘর নারীর ক্লিভেজ। দুর্বল
মৃত্যুকে শক্তি জোগাই। মৃত্যুর লাবণ্য ফেরে।
নীলাঞ্জনা
ঘুড়ি
ওড়ানোর পর আকাশকে অস্বীকার করি। ইঞ্চি মাপা দেয়াল চোখ বাঁধা ছুরির জন্য। বৃষ্টি
আবৃত্তি করে আকাশ। পূর্বনারীরা বলেছিল -- তার তেহাই দোহাই বাঁচিয়ে রাখি। অনেক
বৃষ্টি আর ঘুড়ি ওড়ানোর পর পুরস্কার পাই জামদানি আকাশ।
নেত্রাসীনা
কোথায়
কোথায় প্লুতস্বর বসাবে ঘুড়ির। খাতা দেখা অভ্যেসে লিখি হৃদয়ের নামান্তর ঘিলু।
কাজ সাজ রাজকন্যার মাথার কাছে কলম রাখি পায়ের কাছে তুলি।নারীদিবস তুমুল হুলাহুলি।
গামছার নামতায় রৌপ্যানী। আকাশে কখোন মেশে সূর্যানী নারী ?