অভিজিৎ দাসকর্মকার
ফুলের সন্ন্যাস
মাথার ভিতর এক-একটা রাত
অসহ্যশব্দে আমাকে মুখোশ পরাচ্ছে
ভালোবাসা!
সেই দৃষ্টিতেও জ্বরজ্বর ভাব
লোহিত কণিকার ভিতর ঘুনপোকা
তবুও
উর্ধশ্বাসে ছুটছে জন্মঋণ
রহস্যলোক গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে শর্করা বাড়াচ্ছে-
বোধ হয়,
কৌলীন্য হারিয়েছে চোখের জল
গলার স্বরে মন্দাক্রান্তা ছান্দের উপাখ্যান
লিখতে লিখতে
ভালোবেসে ফেলেছিল কবিত্বের অসুখ
গাঢ় আচমনের জলে সেলাইন ওয়াটারের গন্ধ
আর
আমাকে
ক্লান্ত করেদিলো ফুলের সন্ন্যাস গ্রহন...
সন্ধ্যা অনুবাদ করে ছায়া-বাতাস...
শরীর ধুয়ে
গভীর রাতে প্রতিদিন ঘরে বসে-
নিশ্চিন্তে আছি।
প্রকৃতি সারারাত তাপমাত্রা নামাচ্ছে -
তাহলে কষ্ট গুলো মার্কসীয় দৈবাতে
একটি কাউন্টার মিছিল করবে?!
খাদ্য চাই
ভাড়াটে জিন্দাবাদ চাই
টুকরো টুকরো মানুষ চাই-
দুপুরের গরম নিয়ে শরীর দিই চাঁদের ভিতর
পড়ে থাকতে দেখি জ্যোৎস্নার কঙ্কাল
আমাকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে
এবং তখন
সন্ধ্যা অনুবাদ করে ছায়া-বাতাস...
উদাসীন আলেকচিত্রের মরণদশা মাত্র
শনাক্ত করতে পারবে?
দেখো
কিভাবে অনুবাদ করছি
নিজেকে
দুপুরের গরমে-
সন্ধ্যাতারাটির উত্তাপ বাড়ছে নৈঋত কোণে
জীবিত নদীটির বুকে
একটি একটি
কেন্দ্রবিন্দু আজ-
উদাসীন আলেকচিত্রের
মরণদশা মাত্র।
বাঁ-দিকের টা আমার
এটা ৪ টা ৪৪ মিনিটে বলেছিলো নদী
সকাল হলো-
ভৈরবীরাগের সপ্তম আলাপটি
প্রশার ভারতী হয়ে আসছে
প্রতিসরণ হচ্ছে আমার সংক্রমণ
পিলসুজ থেকে রাস্তায় গড়িয়ে পড়ছে
বুদ্ধ আর নদী-বাসির অহিংস জল...