শ্রীলেখা মুখার্জ্জী
দুর্নিবার
অদ্ভুত দক্ষতায় পা ছুঁয়ে যায়
ঢেউ …
সরগমের সূক্ষ্ম মীড়ের মতো সরে
যায় বালুকণা
যা ছিলো নিশ্চিন্ত আশ্রয় ;
অনুভবের শিখরে দাঁড়িয়ে আমি
ভ্রাম্যমান বালুরাশি মাপি
একটু একটু করে ডুবে যাই নোনতা
স্বাদে
ফেনার জ্যামিতিক নক্শা ধরে
গন্তব্যহীন চলা
নির্জন সৈকতে সমুদ্রের গল্প ,
শুধুই উচ্ছ্বাস আপাতদৃষ্টিতে ;
অতল কাহিনী দৃশ্যপটে নেই…
গভীরে জমে থাকা ক্ষোভ অভিমান
চাইলেই ভেঙে দিতে পারে জাহাজের
উদ্ধত মাস্তুল
আমিও গিলে নিয়েছি সব কান্নারঙ
প্রতিশোধে ধ্বংসস্রোত বইয়ে দিতে
আমিও পারি…
বুকের ভেতর একটি আস্ত সমুদ্র আর
একাকীত্বের বেলাভূমি নিয়ে—
হাওয়া বদল
আমি তো জেগেই থাকি
রাত বয়ে যায়…
মাঝরাতের হাওয়ায় একটা সুগন্ধ
ভেসে আসে ;
তোর পাড়া হয়ে আসে বোধহয় সে ,
আমার জানলায় ঢেলে দেয় আতরের শিশি
আমি জ্যোৎস্নার তোয়াক্কা করি না
শুধু রাতের এই সুবাসটুকুর
প্রতীক্ষায় থাকি…
জানি তুই এসে দাঁড়ালেই
অন্ধকার , ঝিকমিক
জোনাকির আলপথ
আমি আশায় থাকি , বদলাবে
সময় ;
একরাতে হাওয়ায় ভাসা সময় বলে
যায়,
বদলে গেছিস তুই—
কথার মনখারাপ
কথারা ভালো নেই…
গভীর অ-সুখে শীতঘুমে এখনও
পাশাপাশি রাস্তায় রিফু করা ঠোঁট ;
দূরন্ত বসন্ত ,
পলাশের ডাল হাওয়ায় দোলে
কথার কোনো হেলদোল নেই ;
বুড়িয়ে যাওয়া সময়ের হাত ধরে
কখন যেন ফুরিয়ে গেছে …
আলোর গল্পে দীর্ঘতর ছায়ার শরীর
চাঁদের রূপকথা ,
বালাপোশ টেনে পাশ ফিরে শোয়
মেঘের পরে চুপকথার মেঘ জমে…
একফালি জোছনা এখন অভ্যেস মাত্র—