সিদ্ধার্থ সিংহ
কিংবা... কিংবা... কিংবা...
আপনার প্রচণ্ড জ্বর হোক
একশো দুই তিন
কিংবা কোনও প্রিয়জন মুখ ফিরিয়ে নিক
আপনার কাছ থেকে
নয়তো এমন কিছু ঘটুক
এমন কিছু়... এমন কিছু... এমন
কিছু...
আপনি তো যেতে বলবেন না
যেতে চাইলে বলবেন---
লোকে কী ভাববে!
এ কী বলবে!
ও কী বলবে!
সে কী বলবে!
কোথাও দেখা করতে চাইলেও বলবেন,
কী করে যাই!
আপনার তুমুল জ্বর হোক
একশো তিন চার
কথা বলার মতো অবস্থা না থাকুক
আপনার
কিংবা... কিংবা... কিংবা...
তা হলে আর আপনার অনুমতির দরকার হবে
না
খুঁজে খুঁজে সোজা চলে যাব আপনার
বাড়িতে
জ্বর দেখার ছলে কপালে হাত দিয়ে
গলায় হাত দিয়ে
মাথায় বিলি কাটতে কাটতে
অনায়াসে ছুঁতে পারব আপনাকে
আপনার বীভত্স্য জ্বর হোক
জ্বর হোক একশো চার পাঁচ ছয়
কিংবা... কিংবা... কিংবা...
তার পর
নিকষ কালো অন্ধকার।
--- তার পর কী?
অন্ধকার।
--- তার পর?
তার পরেও অন্ধকার।
--- তার পরে?
তার পরে আরও অন্ধকার।
--- আরে বাবা, তার
পরে কী?
তার পরেও তো অন্ধকার, ঘুটঘুুটে
অন্ধকার।
--- সেই অন্ধকারের পরে কী?
সেটা আর জানা যায়নি।
জানার জন্য যারা গিয়েছিল
তারা আর ফিরে আসেনি।
টপ ফ্লোর
নয়নাদি,
আপনি এখন কোথায়?
টপ ফ্লোরে। বসের ঘরে।
ছুটি হয়ে গেছে তো…
যাবেন না?
না কি ওখান থেকে
ঝাঁপটাপ দেওয়ার মতলবে আছেন?
আমি ঝাঁপ দেওয়ার লোক নই।
বস নিজেই ঝাঁপ দেন
আমার উপরে।
ছিঃ। এই ভাবে কত দিন চলবে?
যত দিন না প্রেগন্যান্ট হই
তার পর…
বস আর ঝাঁপাবে না
তখন হয়তো আমিই ঝাঁপ দেব
এই টপ ফ্লোর থেকে।
হলুদ পাঞ্জাবি
ফেসবুকে ঘন ঘন হলুদ পাঞ্জাবি পরা
আমার ছবি দেখে
আপনি বলতেই পারেন, দাদা, এ বার অন্য একটা পাঞ্জাবি পরুন…
আমিও লিখতে পারি---
আলমারি থেকে বের করে দেওয়ার তেমন
কেউ নেই যে!
আসলে ওই পাঞ্জাবিটা আমার বড় পয়া…
যে দিন ওটা পরে গিয়েছিলাম
সে দিনই তিনি আমাকে প্রথম ‘হ্যালো’
বলেছিলেন
তপন থিয়েটারে আমার গণ সংবর্ধনার
দিন
ওই হলুদ পাঞ্জাবিটা পরেছিলাম দেখেই
উনি আমার পাশের সিটে এসে বসেছিলেন
ওই হলুদ পাঞ্জাবিটা পরেছিলাম বলেই
ফেসবুক খুলতেই দেখি তাঁর প্রথম
লাইক
এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস
ওই হলুদ পাঞ্জাবিটা পরে থাকলে
শুধু আনন্দ নয়, জ্ঞানপীঠ নয়, নোবেল পুরস্কারও নয়
তার চেয়েও তার চেয়েও তার চেয়েও
অনেক বড় পুরস্কার আমি অনায়াসে
পেয়ে যেতে পারি
উনি নিজে থেকেই হয়তো কাছে এসে বলতে
পারেন---
কেমন আছেন? ভাল তো?