স্বপন
গায়েন
প্রতিবিম্ব
প্রতিপদের
ভাঙা চাঁদের মতো
বুকের লুকোনো
কান্না
ক্রমশ নীরব
ফল্গুধারায় ভেসে যায়।
হৃদয়ের
ক্যানভাসে আঁকা ছবি
ছেঁড়া ছেঁড়া
মেঘের মতো
হাওয়ায় উড়ে
যায় আনমনে।
বুকের পাথর
সরিয়ে দেখি
স্বপ্নগুলো
যন্ত্রনায় ছটফট করছে
তীক্ষ্ণ
শলাকায় বিদ্ধ ভালোবাসাও।
রজনীগন্ধা
শিউলি চামেলি সবাই
সুগন্ধি
ফুলেরা হাসছে বিরামহীন
বৃন্তচ্যুত
হয়েও ...
ভালোবাসার
বারান্দায় নিজের প্রতিবিম্ব
ক্রমশ ঝাপসা
হতে হতে -
চাঁদ ডোবা
নিশীথে হারিয়ে যায়।।
গোপন খেলা
আনমনে ছিঁড়ে
ফেলি
ক্যানভাসে
আঁকা তোমার অধর
পিপাসার মানুষকে
দাও নি
একটুও অধর
স্পর্শ।
শরীর জুড়ে
গোধূলির আলো
অঝোরে বৃষ্টি
নামছে নির্জন বালুচরে -
ধুয়ে যাচ্ছে
তোমার
অধরের গোপন
খেলা।
পাতার মর্মর
শব্দ ছিল না
তবুও স্পর্শে
কোমলতা টের পাই
পাখিদের
কলতানে মুখরিত
অনুচ্চারিত
ক্যানভাস।
চোখের পলক
ছুঁয়ে নেমে আসছে
তৃষিত অধরের
হাহাকার -
বুকে তোমার
একরাশ জ্যোৎস্না
সেই আলোতে
ভেসে যাই অতলে।
সেই কালো মেয়েটা
অনেক গোপন
তথ্যের আড়ালে
লুকিয়ে আছে
সত্যের ইমারত
লজ্জাবতী
লতার শরম লুকিয়ে
এক কোমল
স্পর্শে ...
কালো মেয়ের
শরীরের ভেতর
লুকিয়ে আছে
রমণীয় মহাসাগর।
হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে
দেখো
কখন তলিয়ে
গেছো গভীর জলে।
খিল খিল করে
হাসছে কালো মেয়ে
ডুকরে কাঁদছে
হাড় জিরজিরে অষ্টাদশী
কখন নষ্ট
হয়েছে অবেলায়
তৃতীয়ার চাঁদ
ডুবে গেছে নিমেষেই।
অন্ধকারে একা
দাঁড়িয়ে সেই মেয়েটা
জোনাকি
পাহারা দেয় রাত জেগে
কখন নষ্ট হবে
আবার কালো মেয়ে।