সুধাংশুরঞ্জন সাহা
লতাগুল্মকথা
কাকদ্বীপের এক নম্বর প্লাটফর্ম সিঁড়ি ভাঙে
রোদের পারদে ।
দলছুট মেঘেদের কান্না বাজে আমার
একতারায় ।
খরার মানচিত্র ছিঁড়ে দু'চোখে নাচে স্তব্ধ অরণ্য-
সংসার ।
পৃথিবীর সব বিফলতা ধাওয়া করে আমাকে ।
রাগে, অপমানে শিরদাঁড়া কাঁপে ।
জলের দিকে তাকিয়ে মুছে ফেলি আঘাতের
দাগ ।
আর বারান্দার বিষণ্ণ অন্ধকারে একে একে শুকিয়ে
যায়
অনাদরে বেড়ে ওঠা লতাগুল্মকথা ।
দূরত্ব নির্মাণ
যতবার দেওয়াল তুলি,
অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়ার মাঝ বরাবর,
ততবারই ভেঙে পড়ে মাটির দেওয়াল ।
বিফলতা অতিক্রম করতে চেয়েছি যতবার,
হতাশা এসে হাত ধরেছে গোপনে ।
কিছুতেই সামলাতে পারি নি নিজেকে ।
হতাশা আর বিফলতার মাঝে
দূরত্ব নির্মাণ করতে পারি নি ।
আজও পারি না কিছুতেই ।
পোড়া মাটির বেহালা
কবিতা আদতে এক নিরন্তর দোলাচল,
সম্ভাবনা আর অনিবার্যতার ।
সময়ের নিত্তিতে সম্ভাবনা বারবার দোল খায় বাতাসে
।
আর আমার হৃদয়ে ঝড় তোলে
পোড়া মাটির বেহালা ।
শুধু কবিতার জন্য
জীবন বড়ো জটিল ।
সেই জটিলতার পাকে পাকেই
জীবনে প্রেম আসে, ফ্যাকাসে হয়,
হয়তো ভেঙেও যায় ।
তবু,জীবনে আছে নানা বিস্ময় !
স্থিতি নয় । নিরাপত্তা নয় ।
উচ্চাশা নয় । সফলতাও নয় ।
স্বাধীনতা চাই, শুধু স্বাধীনতা ।
চাই এক অবিকল্প একাকিত্বের ছাড়পত্র,
শুধু কবিতার জন্য ।
ভোট
ভোট আসে ভোট যায়
কেউকেটা গর্জায় ।
ভাষণের কত ঢেউ
দিনরাত ঘেউ ঘেউ ।
ভোট এলে বোঝা যায়
ঝড়ে, তাপে, তরজায় ।
দলে দলে লোক যায়
দরজায় দরজায় ।
তোলাবাজ গুলিবাজ
বলে শুধু মেলা কাজ !
বোমাবাজি চাষ হয়
জনগন সব সয় ।