মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

রীনা তালুকদার


রীনা তালুকদার

মদের বোতলে বন্দী কবিতা -১১

ক্ষমতার মোহন মোহে
কবিতা বন্দী মদের বোতলে
কবিতা বন্দী লাল জলের গ্লাসে
চুমুকে চুমুকে জাতীয়তার সর্বজনীন উদারতা
ধর্মীয় মোড়ক খুলে চকচকে হীরের চাহনি চোখে
কে পাকিস্তান প্রেমের আর্দশিক ছায়াতলে
লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতায় দেয় ওম
লাল জলের স্বাদ টানে জিব
আহা ! তখন কী আর মনে থাকে কিছু
জাতীয় মনে বলে কথা আছে না ?
জাতে ওঠার তাগিদে জাতীয় দেয়াল টপকে যেতে হয়
যিনি মাথার দায়িত্বে থাকেন
তার দায়িত্বে নিয়োজিত হরেক অনুভূতির
কড়া তিতে মহুয়া মদ, তরলিত গ্লাসের জমকালো অনুভব
কবিতা কী ? স‍ংজ্ঞা গুলিয়ে ফেলি মাঝে মধ্যে।
কবিতা ক্ষমা করো ! তোমাকে বুকের ভেতর
পবিত্রপরম পরশে শিশুমন দিয়ে রাখতে পারিনি
এ অক্ষমতার দায় এড়াবোনা
মাথা পেতে নেবো আমাদের জাতীয়তার পরাজয়ের গ্লানি
তবে জেনে রাখো ; পিছু হাঁটতে শিখিনি, জানিনা।
কত লাল জলের বোতলে কত কবিতা থাকে
মাথাদের আদর্শ কোথায় থাকে
দেখে নেবো নিশ্চিত !








প্রথম ভালোবাসা -১২

সেই প্রেমের কাছেই নতজানু হওয়া
যেখানে বাহ্যিকতাকে ছাপিয়ে
মন উর্বর পলিতে চাষ করে যায়
টর্নেডো গতির ভালোবাসা
দু'চোখের চুম্বুক চাহনী
ভালোবাসার গোডাউনে
বাধিয়ে তোলে লঙ্কাকান্ড
যখন তখন আইসক্রিমের নেশা চেপে বসে
সর্পিল আয়োজনে হাতে হাতে করতল মিলানো
বটবৃক্ষ সাক্ষ্য তারই নীচে বেঞ্চিতে
যৌথ দীঘল নি:শ্বাস পাশাপাশি ব'সে
নিতম্ভে রাখে স্পর্ধার স্পর্শ
মুগ্ধ চার চোখ তুফান তোলে ঠোঁটে
কৃষ্ণ কুমারী নদীর সমতলে ঢেউ ঢেউ সমর
টেরাকোটার ছাদ পোড়ে বৈরাগ্যের আজল আগুনে!









কেশরবিহীন যৌবন-১৩

সাদামাটা দিন যায়, রাত যায়
যায় জীবনের দিনকাল
হৃদয়ের বাম পাশে কোনো ব্যথা
অনুভব করি না এখন
দূরত্ব ঘোচাতে ঘোচাতেই
পুতুলের ব্যস্ত সংসার
ভালোবেসেছি কি-না
টের পাইনি!









কেশরবিহীন যৌবন -১৪

সামনে এগোতে পারি না
পিছনে ফিরলেই মহাসমুদ্র জল
পিছু টানে মায়ামোহ
কত টুকরো টুকরো ছবি
এগোলেই পিছিয়ে পড়ি
আগে পিছে অদৃশ্য শেকল
জানি একদিন না ফেরার আগামীতে
এগোতেই হবে !








কেশরবিহীন যৌবন -১৫

মাঝে মাঝে মন শুকিয়ে যায়
কথা শুনে মন ভেজাই
তুমি ভাবো আবেগের ছল
ভালোবাসা আমার বৃথাই

সময় যাচ্ছে বয়ে তরতর কেমন
জীবন উড়াতে পারেনি সময়
ভালোবেসে শুধু অস্পষ্ট ছবি
দ্বিধান্বিত সুর, ছায়া যাতনাময়।