নির্মাল্য ঘোষ
বনসাই
সবুজ সেলাই ফোঁড়াইয়ের মাঝখানে
যে পিচগলা রাস্তা গড়ে তোলে
সহাবস্থানের কাহিনী...
সেই সহাবস্থানের পথ ধরে বনসাই
কাহিনীগুলো সুঁচ গলা সূক্ষ্ণতায়
শিকড় ছড়ানোর চেষ্টা করে
কর্ষিত মৃত্তিকায়...
টবের বাধা ভেদ করে।
অনুপ্রাণিত আমার বনসাই মন
নিখুঁত স্পর্শের শিকড় ছড়াতে চায়
তোমার হৃদয়ের অকর্ষিত মৃত্তিকায়…
রক্ত মাংসের বাধা ভেদ করে।
পাতঙ্গিক
পতঙ্গ আমার ভালো লাগে।
শব্দ সাগরে নীরব আমরা দুজনেই।
শুধু ইশারায় কথা বলা কিম্বা
চোখের সবাক ভাষা। পৃথিবীর সমস্ত
কোলাহল ছাপিয়ে স্পষ্ট হয়ে তীব্র
হয়ে ওঠে সে ভাষা।
মানুষের হাতে মাঝে মাঝে বিপন্ন
আমরা দুজনেই - মানুষের বানানো
দুর্ভিক্ষে, ঝড়ে,
খরায়, বন্যায়।আত্মিক
যোগাযোগ দুজনেরই মাটি আর
অরণ্যের সঙ্গে। বেদনায় ও শুঁড় নাড়ে
আর আমি হাতের আঙুলগুলো।
ভালবাসার প্রত্যাখ্যান ওকে আঘাত
করে
কিনা জানিনা - ও দলের প্রতি
দায়বদ্ধ -গভীরে জমে আছে নিরুত্তর,
অপার স্তব্ধতা।
ওর বিলুপ্তি মানে আমারও
বিলুপ্তি।
শুধু পড়ে থাকবে কিছু মানবিক আর
পাতঙ্গিক টুকরো টাকরা স্মৃতি আর
সংস্কার - পৃথিবী বদলে নেবে ক্ষয়ে
যাওয়া নেমপ্লেটটা।
তবুও তো…
ভালো না লাগারও তো একটা ছন্দ আছে।
দাঁড়ি, কমা,
সেমিকোলোণ এরাও তো থাকে
তার মধ্যে।
ভালো না লাগা একটা সৃষ্টি সুখের
উল্লাস
যেন; মাত্রাহীণ,
রঙ হীন, বর্ণহীন, কিছুটা
বিরামহীন।
ঐ যে মেয়েটি পণ্য সাজায় প্রতি রাতে,
ভালো লাগে? তবু
ও তো.. না হলে বিপন্ন
সংস্কৃতি!
এই যে তুমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সমাজের
কথা
বলো... ভালো লাগে? তবুও
তো..
তবুও তো এখনো প্লাস্টিকের ফুল কিনি
ঘর সাজানোর জন্য, অনেক
দামী..