মিজান
ভূইয়া
মৃদু বাতাসের নারী
দু'চোখে
কাজল মেখে
সময় যায়,
হয়তো সময়
নদীর ওপারে কিছু গেছে,
ছায়াদের
কাছে। বুকে কিছু আগুন,
পুড়ে যায়
পুরনো কালের
বসন্ত।
ছুঁতে গেলে
হাতের
আঙ্গুলে লাগে চাঁদ,
পাখিরা মাথার
উপরে ঘুরে ডাকে,
আমাকে জড়িয়ে
ধরে মৃদু বাতাসের নারী।
ছয়টি ঋতু
উজ্জ্বল হয়,
বুকে স্থির
হয়ে থাকে কোকিলডাকা এক
দুপুর,
সব ছবি অস্ত
যায়
আমি শুধু
দূরের মাঠ হতে থাকি,
সন্ধ্যার
প্রদীপ হতে
থাকি...।
বিদায় বেলার ঘ্রাণ
আমার আঁকা
ছবিতে তোমার একাকীত্ব দেখি
দেখি পলাশ ফুলের মত প্রহর
বুক বসে ডেকে
যায় প্রতিটা দুপুরের কোকিল
শুনতেই পারো তুমি
ঝরা পাতাদের গান
আমিও
ছাদের শুকনো কাপড়ে বাষ্পের মত ঘুরি
বেলা শেষে
তোমাকে
বিকেলের মত ডাকি
খুব ভাল লাগে
যখন
আকাশের দিকে আঙুল উঁচু করে
আমাকে তুমি
ছায়া দেখাও
তখন ত্বকে ও চুলে পাই বিদায় বেলার ঘ্রাণ!
সেই সময়
সেই চোখের
রঙে
কোন এক নদী
দেখা যায়
পাতার সবুজে
প্রশ্নবোধক
চিহ্নের মত পাখি
বিকেলগুলো
বুকে নিয়ে কিছুপথ হেঁটে গেলে
ফুলের গন্ধ
পাই
আজও বহুমুখী
বাতাসের ভিড়ে নিজেকে খুব
একা রাখি
স্মৃতিজাগানিয়া
আঙুলের স্বর্ণ এসে বিদ্ধ হয়
প্রাণে
পাহাড়ের ওপাশে
চলে যায় বেলা
শুধু বহুদূরে
বহুদূরে
ভাঁজ করা
শাড়ীর দৃশ্য
দ্বীপের মত জ্বলে।