শ্যামলী রক্ষিত
বিবর্ণ ভালোবাসা
অসম্ভব নীরবতায় বয়ে যাচ্ছে প্রহর
নিঃশব্দ সময় জুড়ে সত্যের অপলাপ
রচিত হচ্ছে
অক্ষরবৃত্তের অমলিন প্রয়োগে।
স্তবকে স্তবকে সজ্জিত হচ্ছে
সুনিবদ্ধ চিন্তার
নিগূঢ় অন্ধকার উন্মোচন।
জোৎস্নার বিপরীতে লুকানো আছে
সুতীক্ষ্ণ অমানিশার উলঙ্গ শরীর।
রাজ পথ ভেসে যাচ্ছ অমলিনর হৃ্দয়
মন্থন করে।
বর্ণ মালা দুষিত হয়ে চলেছে ক্রমশ
লুপ্ত হতে থাকা বিবর্ণ ভালবাসায়।
মুছে যাচ্ছে মহাকাব্যের যাবতীয়
উল্লাস
সুপ্ত প্রলোভনে মিশে থাকা ইচ্ছেরা
এমন বিকিয়ে যেতে পারে পরিশীলিত
ভদ্রতার মরকে,দেখেছিল
শুধু কবি ও কাঙাল
সেই ভাষা প্রেমী বাউল. . . . .
কবিতার উৎস মুখ
তুমি চাও নি বলে তাকাই নি কোনোদিন
সুনীল নীলিমার নরম শরীর ছুঁয়ে
খেলা করা মেঘেদের উন্মাদ জলক্রীড়া।
বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়েছে আঁখি যখন
চেয়েছি সুদূর নক্ষত্র পরবাসে।
আলো আঁধারের ঘেরাটোপে
ডোরাকাটা জীবন বয়ে গেছে
খরস্রোতা নদীর মত।
কত সুখ স্মৃতি উড়ে গেছে
সোনালি রোদ্দুর মাখানো পাখির
ডানায়।
জন্মদাগের মত সে সব থেকে গেছে
গোপন সময়ের সাথী হয়ে।
তবু বসন্ত উৎসব ঘিরে খেলা করে
কিশোরী
সবুজ বাতাস।
আঁকা বাঁকা পথে কত পংক্তির বিন্যাস
।
সেখানে কবিতার উৎসমুখ।
জীবনভর সেই পথ ধরেই ক্রমশ হেঁটে
চলা- - -
ভুল
অমন কত ভুল আছে
নিরন্তর তোমার চলার অভিমুখ বদলে
দিতে পারে।
বৃক্ষ চারা থেকে মহীরুহ হতে পারে।
ফুল বা ফল না দিক, ছায়া
বিস্তারে টেনে নিতে পারে
পরাশ্রয়ী চাটুকার।
মাটির নিচে শিকড়ের বিস্তার করে
চিরস্থায়ী বিচ্ছেদের রঙিন রিবন
পরতে পারে মনিবন্ধনে ।
দিগন্তের সীমানা ছুঁয়ে বসে থাকে
মনের ঘরে সিদ কেটে সে,
একাকী যক্ষ্মের মত পার্থিব আয়ু
সিক্ত হয়,
আর আজীবন শুধু দীর্ঘশ্বাসের
কালো চট চটে অনুভূতি
নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে কানামাছি খেল
চলতে থাকে
বেপরোয়া লাগামহীন রুক্ষতায়।