কাকলি
দাশ ব্যানার্জী
অন্তরালে মায়া
অভিমানেরা
ঘুমিয়ে পড়েছে কখন
নীরব শোকে
দুচোখ ভেজা -- অরণ্য,
ক্ষত বিক্ষত
নিজস্ব গর্ভে-
বিচারে লালিত
অন্তরাল -- আসন্ন ।
অর্জনে বসে
জলছবিরা -- চুপ,
খড়খড়ি
দিয়ে চিলতে আলোর ভাসে -
রীতি মেনে
মুঠোয় ধরা স্খলন,
ক্ষোভের প্রসবে
গভীর ক্লান্তি হাসে ।
হয়ত ঠিকানা
ভুল হয়ে গিয়েছিল -
আদ্যোপান্ত
হিসাবে গরমিল ,
জোর করে
আত্মীয় ডাকলে
রেখাচিত্রে
বেদনা সাবলীল ।
আভরণে
ব্যর্থতা বিন্যাস
শিবিরে এখন
নতুন ঋতুর ছায়া ,
বিগত চিহ্ন
বন্ধন মুছে - একা
চেতনা বলছে -
এর শিরোনাম মায়া ।
রূপান্তরে শূন্য
একটা তীব্র
সত্যের উৎপাতে
নিভে যেতে
পারে
চুম্বনের সুখ
।
অপাঙক্তেয়
হবার বিষাক্ত কল্যাণকে
নিটোল
ব্রহ্মাস্ত্র করে ,
সভ্যতার
আবরণকে ছারখার করার ক্ষমতা রাখে কিছু
বেপরোয়া
সোঁদা গন্ধ ।
অক্ষর জন্মের
দায় তোমার ছলকে উলঙ্গ করে অবহেলায়
কোন যান্ত্রিক
মগ্নতাকে মিথ্যে আত্মার বিবর্ণ ছায়ায় আশ্রয় দেয়নি
বরং চুপিসারে
ঘরের আয়োজনে কতটা সন্ত্রাস
ভরে নিলে তার
ঠিকানা খুঁজেছে নিয়ত ।
তোমার এজলাসে
আমাকে তুমি অপরাধী বলেছো,
শুধুমাত্র
আমার প্রেক্ষিত ঘোষণা করেছিল -
শূন্যের
হিসাবে গন্ডগোল আছে,
তুমি যাকে
শূন্য বল তার অস্তিত্বে ঘুণ
গভীর
শূন্যতায় আমার সভ্য আয়োজনের সভায়
আমি তোমাকে
প্রধান অতিথি করবো
শুধু দাহসাজে
শূন্যের কতটা
সৌন্দর্য্য আছে তা দেখাবো বলে ।
বাতিল
আমি এখন
বাতিল হতে চাই ।
বাতিল হলেই
স্বাধীন রোদ বেশ,
এই মাচাতে
ফুল ফোটানো হলে
পেরিয়ে যাব
বুড়িগঙ্গার শেষ ।
আমি যদি
বাতিল হয়ে যাই
অনাদরের ধুলো
মাখবো গায়ে,
একটি দিনই
দেখনদারী আদর -
ফুল রাখবি
ভণ্ড অভিপ্রায়ে ।
আমায় যদি
বাতিল করিস তুই,
ভাবছিস আমি
করবো নাকো টুঁ!
ভুল করছিস
নিথর আমি নই,
ষড়যন্ত্রে
দিতে জানি ফুঁ।
বাতিল আমি
হতে নিজেই জানি ,
তার জন্য চাই
না অনুদান ;
উপসংহারে লাট
খাওয়া ঢেউ এসে
পাকে চক্রে
নতুনের সন্ধান ।