তাজিমুর রহমান
আবাহন
মাদক আসক্ত বালক তুমি কতটা পড়ুয়া
হয়ে উঠতে পারো?
এই জিজ্ঞাসায় দাঁড়িয়ে থেকে আমি
খুঁজে দেখি পাঠের গোড়ার কথা
সেখানে এর কোনো সমাধান আছে কিনা
জানা নেই !
ছাত্রের আদলে রয়েছো জেনে নবমের
পাঠে
তোমাকে আগলে রাখি নিয়ত
রাষ্ট্র,শিক্ষানীতি
কতটুকু জানে এই ইতিকথা !
শুধু স্কুলছুট হয়ো না-এই নিপূণ দড়ি
টানাটানি
অন্তরালে রাখে মাদকের ফলাহার,
প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া তুমি ,শেখোনি
আদবকায়দা
ভাঙা পিয়ানোর মতো বেজে ওঠো দিনরাত
আর অবকাশে নির্ণয় করো অক্লান্ত
আকাশ
আকাশ কী চিনেছে কখনও প্রপাতের
বিনম্র আবাহন
শ্রাবণ
আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে চলেছো বলে কোন
অনুযোগ নেই বরং হাতের রেখায়
লিখে রাখি মোম গলা আঁচ ও বর্ষার
মেঘ!
বাড়ির ভেতর যে বাড়িগুলি ক্রমে
ইতিহাস
হয়ে যাচ্ছে সেখানে নক্সার মতো পড়ে
রয়েছে
পবিত্র ধুলোরেখা আর মাধবীলতার
দীপ্ত রঙ।
আর তোমার রাত্রিমাখা চোখে যে
মাধুরী ছুঁয়ে রয়েছে
তাকে নিভৃতে এঁকে রাখি গ্রামীন
পাতায়
বাতাস দোলা দিলে নড়ে ওঠে সীমান্তের
কাঁটাতার
সহজিয়া বোধে ভিজে যায় হরফের সাজ ;
অতল জ্যোৎস্না হয়ে ছড়িয়ে পড়ে
সম্পর্কের আঁচল
কেবল কমা,দাঁড়ি
,সেমিকোলন ছাড়িয়ে
প্রিয় মুহূর্তগুলো নিয়ে
অকপট ভেসে থাকে একা শ্রাবন
তুলসীর সৌরভ
এখনও বৃষ্টি হলে নেমে যাই গ্রামের
পথে
ভেজা ঘাসের উপর থেকে কুড়িয়ে আনি
আমার শৈশব
গ্রাম কী আমার যমজ বোন যে বৃষ্টির
কথা
বললে লিখে দিতে হবে জন্মদাগের
বৃত্তান্ত!
এ সব কথা ভাবতে ভাবতে খোড়ো চালের
উপর থেকে
উড়ে যায় বটতলার মেঘ ও নীল আকাশ
জলজ মাছের মত ভেসে থাকা এ সব
দৃশ্যে
চরাচর ডুবে যায় আর
বর্ষাতি পরা কিশোরীর চোখে যে
মেখলামেঘ
নিবিড় মাধুরী নিয়ে জেগে থাকে
তার ভেতরে আজও বীতনিদ্র নম্র ভোর
তুলসীর সৌরভ শুধু জানে আমাদের
মধ্যরাতের বাউলপনা