ইন্দ্রাণী
সরকার
সুনয়না
সুনয়না, জানি তোর খরা কাল,
যবে থেকে
আমায় খুঁজে পেলি ।
সব কিছু চলে
যাবার পর পাঁচ
প্ল্যাটনিকে
থেমে আছিস দেখে
কষ্ট পাই, তাই তোর হাসপাতাল
বেডে দান করে
গেলাম,
যত্ন করে
রাখিস, জৈবিক আর প্ল্যাটনিক
মেখে ঘন্ট
রেঁধে খেয়ে নিস্ রে ।
মোহময় স্মৃতি
ফুলঝুরির মত
ঝরে ঝরে পড়ি হে প্রিয়তমা,
প্রতিটি
ফুলকিতে লেগে থাকা আমার ভালোবাসা ।
কবি মাইকেলের
মত একই সাথে পাঁচটা মহাকাব্য লিখি
এক একজন
অনুপাঠক এক একটি প্রতিলিপি আঁকে ।
পৃথিবীতে
কিংবদন্তি করে যাব,
অবিস্মরণীয় ভালোবাসা
একান্ন পীঠে একান্নটা
খন্ড,
যদি সাথে পেতাম !
এখন পর্দায়
চোখ গেঁথে রাখো,
অস্ত্বিত্ব পাবে ।
একান্নবর্তী
সংসারের একান্নবর্তী ভালোবাসা
বিগলিত মোমের
মত যেন মোহময় স্মৃতি ।
হারানিধি
শোনো ছেলে, তুমি কি তোমার
হারানিধি
খুঁজে পেয়েছ ?
কত শত অসাধু
লোকের তল্লাশি নিলে
তাই ভাবি
তোমায় বলি,
হারানিধি
খুঁজে পেলে ?
কত জনপথ, নদী,
নালা পেরিয়ে
তুমি এলে গো
ছেলে
কি ভাবে
তোমায় আপ্যায়ণ করি বল ত ?
চারিদিকে
আমার শুধু দারিদ্র্যতা,
কি ভাবে
তোমায় আবাহন করি,
কোথায় রাখি, তোমার খাজনা ভরা সম্পদ
শুধু প্রকট
হয়ে ওঠে ।
মধুময়
দশ বছরে দশ
দিক দিয়ে দশ রূপে ঘুরেফিরে
ঈশ্বর এসে
মধুময় বাণী শুনিয়ে গেছেন বুঝি নি ।
আঙুলের ফাঁক
দিয়ে গলে যাবার পর জানলাম
তিনি ঈশ্বর
ছিলেন,
যিনি সেই
ভাবেই ছিলেন মনের মণিকোঠায়,
অধরা মায়ায়, সুরের মোহজালে ।
কিন্তু তিনি
পরিচয় দিয়ে জাল ছিঁড়ে জ্যোতিষ্ক হলেন ।
এখন আমরা
আকাশে তাকিয়ে ঈশ্বর খুঁজি,
আলো দেখে
বুঝি কি ভীষণ তাঁর ব্যাপ্তি,
কি ভীষণ তিনি
জুড়ে আছেন
মনে হয় আহা, যেখানে এতদিন ছিলেন
সেখানেই ত
আছেন ।
নতুন চারা
কবিতা লেখার
সময় হয় না গো
তাই উত্তর
দিয়ে উঠতে পারি না ।
বলছিলাম কি,
তোমার ঝিলে
কি নতুন চারা উঠেছে ?
দশ বছরের
পুরোনো জবা গাছ,
তাও এখন ফলন
কম হয় ।
নতুন গাছের
চারা লাগাও সুগন্ধি কোনো ফুল,
যার অপরূপ
গন্ধ তোমার শরীরে আর মনে
পূর্বজনমের
স্মৃতি এনে দেবে ।
কবিতা আজকাল
আর আসে না
তোমাতেই ভরে
থাকি সেই দশ বছর ধরে
একঘেঁয়ে
পাখিছানা হয়ে,
ঠিক তোমারি মতন ।
বিবাগী হুও
না,
তোমার
শেক্সপিরিয়ান ঢঙের কবিতা আমায় গল্প শোনায় ।