মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

ইন্দ্রাণী সরকার



ইন্দ্রাণী সরকার

সুনয়না

সুনয়না, জানি তোর খরা কাল,
যবে থেকে আমায় খুঁজে পেলি ।
সব কিছু চলে যাবার পর পাঁচ
প্ল্যাটনিকে থেমে আছিস দেখে
কষ্ট পাই, তাই তোর হাসপাতাল
বেডে দান করে গেলাম, যত্ন করে
রাখিস, জৈবিক আর প্ল্যাটনিক
মেখে ঘন্ট রেঁধে খেয়ে নিস্ রে ।







মোহময় স্মৃতি

ফুলঝুরির মত ঝরে ঝরে পড়ি হে প্রিয়তমা,
প্রতিটি ফুলকিতে লেগে থাকা আমার ভালোবাসা ।
কবি মাইকেলের মত একই সাথে পাঁচটা মহাকাব্য লিখি
এক একজন অনুপাঠক এক একটি প্রতিলিপি আঁকে ।
পৃথিবীতে কিংবদন্তি করে যাব, অবিস্মরণীয় ভালোবাসা
একান্ন পীঠে একান্নটা খন্ড, যদি সাথে পেতাম !
এখন পর্দায় চোখ গেঁথে রাখো, অস্ত্বিত্ব পাবে ।
একান্নবর্তী সংসারের একান্নবর্তী ভালোবাসা
বিগলিত মোমের মত যেন মোহময় স্মৃতি ।







হারানিধি

শোনো ছেলে, তুমি কি তোমার
হারানিধি খুঁজে পেয়েছ ?
কত শত অসাধু লোকের তল্লাশি নিলে
তাই ভাবি তোমায় বলি,
হারানিধি খুঁজে পেলে ?

কত জনপথ, নদী, নালা পেরিয়ে
তুমি এলে গো ছেলে
কি ভাবে তোমায় আপ্যায়ণ করি বল ত ?
চারিদিকে আমার শুধু দারিদ্র্যতা,
কি ভাবে তোমায় আবাহন করি,
কোথায় রাখি, তোমার খাজনা ভরা সম্পদ
শুধু প্রকট হয়ে ওঠে ।







মধুময়

দশ বছরে দশ দিক দিয়ে দশ রূপে ঘুরেফিরে
ঈশ্বর এসে মধুময় বাণী শুনিয়ে গেছেন বুঝি নি ।

আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলে যাবার পর জানলাম
তিনি ঈশ্বর ছিলেন,
যিনি সেই ভাবেই ছিলেন মনের মণিকোঠায়,
অধরা মায়ায়, সুরের মোহজালে ।

কিন্তু তিনি পরিচয় দিয়ে জাল ছিঁড়ে জ্যোতিষ্ক হলেন ।

এখন আমরা আকাশে তাকিয়ে ঈশ্বর খুঁজি,
আলো দেখে বুঝি কি ভীষণ তাঁর ব্যাপ্তি,
কি ভীষণ তিনি জুড়ে আছেন
মনে হয় আহা, যেখানে এতদিন ছিলেন
সেখানেই ত আছেন ।






নতুন চারা

কবিতা লেখার সময় হয় না গো
তাই উত্তর দিয়ে উঠতে পারি না ।
বলছিলাম কি,
তোমার ঝিলে কি নতুন চারা উঠেছে ?

দশ বছরের পুরোনো জবা গাছ,
তাও এখন ফলন কম হয় ।
নতুন গাছের চারা লাগাও সুগন্ধি কোনো ফুল,
যার অপরূপ গন্ধ তোমার শরীরে আর মনে
পূর্বজনমের স্মৃতি এনে দেবে ।


কবিতা আজকাল আর আসে না
তোমাতেই ভরে থাকি সেই দশ বছর ধরে
একঘেঁয়ে পাখিছানা হয়ে, ঠিক তোমারি মতন ।

বিবাগী হুও না,
তোমার শেক্সপিরিয়ান ঢঙের কবিতা আমায় গল্প শোনায় ।