মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

মন্দিরা ঘোষ


মন্দিরা ঘোষ

যাজ্ঞসেনী


পুড়তে পুড়তে
একটা আগুন শরীর

কতটা বিশ্বাস পেরিয়ে এলে একটা
আগুনজন্ম  জানল না কেউ

টের পেল না শিখাটির ভেতরে
জন্ম নিচ্ছে একটি
 অমোঘ ধর্মযুদ্ধের ভ্রূণ
নীরবে







বিপন্নতা

আরো কিছু বিপন্নতা
শব্দের ক্লান্ত আখ্যান
পাখির ডানার মত
 মৃদু অভিঘাত

মেনে
     নি তে
           নি তে

তবু স্থির এক সময়
চেয়ে নেয় তোমার সমূহ
উদার প্রশ্রয়
   






রক্তমাসে ঢেকে রাখি

তবুও ধার করি বিপন্নতা
কোনো পয়মন্ত মুখ ভেবে
আলো চেয়ে নিই

ধ্বংসের শিখার কাছে
ফেলে দিই মুঠো মুঠো
অসহ্য দহন

শুধু সেই চোখ
 মনখারাপের জানলায় এসে দাঁড়ালে
অভিমান শীতকাল ভেঙে উঠে আসে

 শূন্যতার সাঁতার ঠেলে
নিঃশেষ করে লোকালয়
 উদাসীনতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে
রক্তমাসে ঢেকে রাখি
আমার দীর্ঘ উপবাসের তালিকা







আমাদের ভাবনাগুলি

আমাদের ভাবনাগুলির আশেপাশে
 কিছু সূত্র পড়ে থাকে
খুব কাছের যেসব ভাবনা ছুঁয়ে থাকে আমাদের
 তারা  প্রভাবিত করে না জলের ওপর
 ভেসে থাকা শালুকপাতাটিকে
 কিন্তু দুটি সংকেতের মধ্যেখানে
জন্ম দেয় একটি রক্তকরবীর

দূরত্বের সূচক গুলি ভাঙলে একটি ছোট্ট
পাহাড়ি ঝোরা বইতে থাকে
সেখান থেকে তখন উদ্ধার হয়
নষ্ট  হয়ে যাওয়া সম্পর্কের মুলচাবিটি
যেটি গতকাল সারা ঘর খুঁজে পাওয়া যায়নি

দুটি মুখোমখি সূচনার মাঝে আগুন না জন্মালে
অনুষ্টুপ মন্ত্রগুলি কোন সমতলের উষ্ণতায় চলে যায়
ভাবনার ভেতর অক্ষর সাজিয়ে তখন
একটি রাত্রিকালীন সমুদ্রসেতু তৈরী করে
 অপুর  হাতের রিমোট যন্ত্র

কখনো কখনো মাইক্রোচিপগুলি
ভাবনায় অপরিহার্য হয়ে পড়লে আমরা
 ট্যাটু আঁকা তলপেটে হাত রেখে ঘুমিয়ে পড়ি.







হ্যাশট্যাগে

একটি ভাঁজকরা  বিপথগামীতায়
একাদশীর চাঁদ ,ঝাউবনে
 চিকমিকে সিলিকন ইশারা 

চ্যাটালো সামুদ্রিক আলোয়
একদল ঘেয়ো আবদার
ভদকা বিলাপে জীবনমুখী গান
'তার লা লালা.........
তেঁতুলবনে হয়নি আলাপ'

ডানার লুকোনো এক্কাদোক্কা খেলা
অনুঘটক ঝুঁকে থাকে
ঝিনুক, রক্ত এবং বিষাদের
আলনায় 

হ্যাশট্যাগে  লাল নীল পালক আর
দোমড়ানো হিসহিসে অক্ষমতার
ছবি
 মুখপুস্তকের দেওয়াল জুড়ে
নরম মাংসের ঘুমন্ত সেলুলয়েড