হীরক
বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশ্বাস হারানো পাপ
বিশ্বাস
হারাতে হারাতে
যেহেতু আর
কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই
তাই পার্থিব
মানুষের সমস্ত ধ্যানধারনা
পাল্টে দেওয়া
হচ্ছে
সন্ধ্যার
প্রথম তারাটির মতো
ব্রম্ভান্ড
ফিরে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে
এই মাত্র
হাওয়াও প্রত্যাখ্যান করল
ভাঙা আয়নার
সামনে যেমন সূর্যোদয়
বৃষ্টি হচ্ছে
পাথরের গমক্ষেতে
ছায়াপথে
হাটছে দুজন প্রেমিক প্রেমিকা
দুজনের হাতে
দুটি সুদৃশ্য মোবাইল
কেউ কারো
দিকে তাকাচ্ছে না
অনেক দিন ওরা
চুমু খায়নি
তাতে কারো
কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই
আগামীকাল কি
হবে জানি না
মানুষের উপর
বিশ্বাস হারানো পাপ
কোন
মিথ্যাবাদী বলেছিল কে জানে
সমাধি
সম্পর্কের
কোনো রাস্তা তুমি আর
খোলা রাখোনি,এ সময় বিবর্ণ আলোয়
সাল তারিখ গুলো আকাশে ঢাকা
মিথ্যে
দর্শনের নৌকা কি আমাকে নেবে
ভালবাসতে
বাসতে সমাধির কাছে এসে পৌঁছেছি,
সেখানে
একেকটা শহর ঢালু হয়ে
ভাসছে,প্রাচীন ঝিঝি রা ডাকছে
ক্রমশ গাঢ়
হচ্ছে শূন্যতা
ভেঙে পড়া
সেতুর সঙ্গে
মহাকালের
ঘোড়া নিরবধি কাল রাত্রি ছড়িয়ে
দিচ্ছে, এসময় জানলা খোলা তাই
দেখতে পাচ্ছি
শ্মশানে চিতা বহ্নিমান...
আমি আসছি
আমি আসছি
কথাটা ভাবলেই
কেমন চমকে
উঠি,
অশ্রু রক্ত
ঘাম ফোটা ফোটা নামতে থাকে
ভাই সাবধান
বড়িয়া তুফান...
একটানা এক
ঘোরের ব্যাকরণ
যত তার হাত
ধরে টেনে ধরে বাতাস
ততই চিৎকার
করে ওঠে গাঢ় জঙ্গল
হলট্...সঙ্গে
সঙ্গে গগন বিদারী বিস্ফোরণ
আমি আসছি...
কথাটা ভাবলেই
কেমন চমকে উঠি আজও ....